ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সফল চীন সফর: কতিপয় সুশীলের গাত্রদাহ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ১৫ বার

বিএনপির সাম্প্রতিক চীন সফরকে সফল হিসেবে দেখছে দলটি। দেশের রাজনৈতিক মহলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ফলপ্রসূ এই সফরকে নিয়ে কতিপয় সুশীলের গাত্রদাহ হতে দেখা গেছে।‌ তারা প্রকাশ্যেই এই সফরের সমালোচনা করছেন। কেউবা আতঙ্ক অনুভব করছেন। সমালোচনাকারী এসব সুশীল ভারতীয় এজেন্ট অথবা দেশের ভালো চান না, তাইতো তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে- এমন মন্তব্য করেছেন নেটাগরিকরা।

তারা আরো বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সরকার গঠনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এজন্য আগ থেকেই কুটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়াটা দেশ এবং দল দুটোর জন্যই ভালো। ফলে সরকার গঠনের পরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক বা দেশের যে কোন সম্পর্ক দ্রুততর হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সফরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে। ফলে এই সফর ভবিষ্যতে ঢাকা-বেইজিং কূটনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারে যে ভূমিকা রাখবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

গত সোমবার (২৩ জুন) চীন সফরে যায় বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফরে যান।

এই সফরে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা স্মারকে আগ্রহ দেখিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) আন্তর্জাতিক বিভাগের মিনিস্টার লীউ জিয়ানচাও। লীউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন তথা বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও জনকল্যাণে প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ যুগান্তকারী ও অবিশ্বাস্য। এ কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়।বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দল ও দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা লাভ করবে বলে সিপিসির নেতারা আশাবাদী।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং কৃষি, শিল্প, পোশাক, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশকে চীনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অন্যদিকে, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের উদ্যোগের ইতিবাচক আখ্যায়িত করে তার পরিধি বাড়িয়ে বহুপাক্ষিক করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের অধিকতর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা বিএনপির জন্য একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে এবং এ সফর সে সুযোগকে উন্মুক্ত করতে সহায়ক হবে। তারা এই সফরকে বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক স্থাপনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের সেবাদাস ফ্যাসিস্ট ‌আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে।

কিন্তু বিএনপির সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি।
বিএনপি নেতাদের ঘন ঘন চীন সফরে আতঙ্ক অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, “অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে—নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে শক্তি-সাহস দরকার, তা সম্ভবত ক্ষণে ক্ষণে কমে যাচ্ছে!”

গতকাল বুধবার (২৫ জুন) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রধান উপায় হলো রাজপথ।এরপর যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ভারতীয় অস্ত্র কিংবা ২০২৪ সালের আমেরিকান স্নাইপার—দুটোই ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের নায়করাই নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে।”

সবশেষে তিনি মন্তব্য করেন, “চীন, জাপান, দিল্লি বা পিন্ডি—কোনো দিন কাউকে ক্ষমতায় বসায়নি, বরং ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

ইদানিং বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্যানিক কনটেন্ট’ তৈরি করে মানুষের নজর কাড়তে চাওয়া গোলাম মাওলা রনির এমন উদ্ভট মন্তব্যের যথাযথ জবাবও দিয়েছেন ভক্তরা। মন্তব্যের ঘরে তারা লিখেছেন, চীনের সাথে বাংলাদেশ ও দেশের কারো সখ্যতা দেখলে ভারত ও তাদের এজেন্টরা আতঙ্কিত হয়! কিন্তু আপনি কেন আতঙ্ক অনুভব করছেন? আর

একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আরেকটি দেশের গণতান্ত্রিক দলের আমন্ত্রণে সে দলের প্রতিনিধি যেতেই পারে এখানে ক্ষমতা কোন মুখ্য বিষয় নয়। চীন কাউকে ক্ষমতায় বসায়ও না। ভারত যেহেতু বিএনপি বিরোধী সেহেতু আঞ্চলিক সাহায্য সহযোগিতার জন্য চীনের সাথে সুসম্পর্ক রাখা উচিৎ। ভোট বাংলাদেশের জনগণ যাকে দিবে তারাই আগামীতে সরকার গঠন করবে।

রনি তার এই মন্তব্যে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান নিয়েও বিষোদগার করেছেন। বিদেশি কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া দল-মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই অভ্যুত্থান সংঘটিত হলেও এতে মার্কিন হস্তক্ষেপ দেখেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য। এর জবাবে নেটিজেনরা লিখেছেন, হাসিনার স্টাইলে আপনি কথা বলছেন, আমেরিকার স্নাইপার কোথায় পেলেন। চোখের সামনের ইতিহাসকে আপনারা বিকৃত করছেন।২৪ এর গণবিপ্লবকে হাইজাক করে দিলেন।ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা কি আমেরিকার অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে লড়াই করেছে?

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির সফল চীন সফর: কতিপয় সুশীলের গাত্রদাহ

আপডেট টাইম : ১১:০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

বিএনপির সাম্প্রতিক চীন সফরকে সফল হিসেবে দেখছে দলটি। দেশের রাজনৈতিক মহলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ফলপ্রসূ এই সফরকে নিয়ে কতিপয় সুশীলের গাত্রদাহ হতে দেখা গেছে।‌ তারা প্রকাশ্যেই এই সফরের সমালোচনা করছেন। কেউবা আতঙ্ক অনুভব করছেন। সমালোচনাকারী এসব সুশীল ভারতীয় এজেন্ট অথবা দেশের ভালো চান না, তাইতো তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে- এমন মন্তব্য করেছেন নেটাগরিকরা।

তারা আরো বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সরকার গঠনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এজন্য আগ থেকেই কুটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়াটা দেশ এবং দল দুটোর জন্যই ভালো। ফলে সরকার গঠনের পরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক বা দেশের যে কোন সম্পর্ক দ্রুততর হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সফরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে। ফলে এই সফর ভবিষ্যতে ঢাকা-বেইজিং কূটনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারে যে ভূমিকা রাখবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

গত সোমবার (২৩ জুন) চীন সফরে যায় বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফরে যান।

এই সফরে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা স্মারকে আগ্রহ দেখিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) আন্তর্জাতিক বিভাগের মিনিস্টার লীউ জিয়ানচাও। লীউ জিয়ানচাওয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন তথা বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও জনকল্যাণে প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ যুগান্তকারী ও অবিশ্বাস্য। এ কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়।বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দল ও দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা লাভ করবে বলে সিপিসির নেতারা আশাবাদী।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং কৃষি, শিল্প, পোশাক, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশকে চীনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অন্যদিকে, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের উদ্যোগের ইতিবাচক আখ্যায়িত করে তার পরিধি বাড়িয়ে বহুপাক্ষিক করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের অধিকতর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা বিএনপির জন্য একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে এবং এ সফর সে সুযোগকে উন্মুক্ত করতে সহায়ক হবে। তারা এই সফরকে বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক স্থাপনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের সেবাদাস ফ্যাসিস্ট ‌আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে।

কিন্তু বিএনপির সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি।
বিএনপি নেতাদের ঘন ঘন চীন সফরে আতঙ্ক অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, “অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে—নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে শক্তি-সাহস দরকার, তা সম্ভবত ক্ষণে ক্ষণে কমে যাচ্ছে!”

গতকাল বুধবার (২৫ জুন) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রধান উপায় হলো রাজপথ।এরপর যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ভারতীয় অস্ত্র কিংবা ২০২৪ সালের আমেরিকান স্নাইপার—দুটোই ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের নায়করাই নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে।”

সবশেষে তিনি মন্তব্য করেন, “চীন, জাপান, দিল্লি বা পিন্ডি—কোনো দিন কাউকে ক্ষমতায় বসায়নি, বরং ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

ইদানিং বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্যানিক কনটেন্ট’ তৈরি করে মানুষের নজর কাড়তে চাওয়া গোলাম মাওলা রনির এমন উদ্ভট মন্তব্যের যথাযথ জবাবও দিয়েছেন ভক্তরা। মন্তব্যের ঘরে তারা লিখেছেন, চীনের সাথে বাংলাদেশ ও দেশের কারো সখ্যতা দেখলে ভারত ও তাদের এজেন্টরা আতঙ্কিত হয়! কিন্তু আপনি কেন আতঙ্ক অনুভব করছেন? আর

একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আরেকটি দেশের গণতান্ত্রিক দলের আমন্ত্রণে সে দলের প্রতিনিধি যেতেই পারে এখানে ক্ষমতা কোন মুখ্য বিষয় নয়। চীন কাউকে ক্ষমতায় বসায়ও না। ভারত যেহেতু বিএনপি বিরোধী সেহেতু আঞ্চলিক সাহায্য সহযোগিতার জন্য চীনের সাথে সুসম্পর্ক রাখা উচিৎ। ভোট বাংলাদেশের জনগণ যাকে দিবে তারাই আগামীতে সরকার গঠন করবে।

রনি তার এই মন্তব্যে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান নিয়েও বিষোদগার করেছেন। বিদেশি কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া দল-মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই অভ্যুত্থান সংঘটিত হলেও এতে মার্কিন হস্তক্ষেপ দেখেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য। এর জবাবে নেটিজেনরা লিখেছেন, হাসিনার স্টাইলে আপনি কথা বলছেন, আমেরিকার স্নাইপার কোথায় পেলেন। চোখের সামনের ইতিহাসকে আপনারা বিকৃত করছেন।২৪ এর গণবিপ্লবকে হাইজাক করে দিলেন।ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা কি আমেরিকার অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে লড়াই করেছে?