ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেজি দরে বিক্রি করা ৪৯০ কেজি সরকারি বই উদ্ধার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৭ বার

মাগুরার শ্রীপুরে একটি মাদরাসায় বিক্রি করা প্রায় ৫শ কেজি সরকারি পাঠ্যবই উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদরাসা থেকে বিক্রি হওয়া ৪৯০ কেজি পাঠ্যবই ইজিবাইকে উঠানোর সময় উদ্ধার করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নে চারতলা নতুন ভবনবিশিষ্ট আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদরাসায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বসাকুল্যে দেড়শ জনের মতো। অথচ অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী দেখিয়ে প্রতি বছর অতিরিক্ত সরকারি বই সংগ্রহ করা হয়। ফলে গত বছরের বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৫শ কেজি অব্যবহৃত বই মাদরাসার স্টোরে পড়েছিল। রোববার বিকেলে ওই বইগুলো মুকুল বিশ্বাস নামে শ্রীপুরের খামারপাড়া বাজারের একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির করেন মাদরাসার সহকারী সুপার আছাদুজ্জামানসহ চার শিক্ষক। বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি পাঠ্যবই অতি গোপনে স্থানান্তরের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বইগুলো উদ্ধার করেন।

গোপনে সরকারি বই বিক্রির ব্যাপারে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তার অনুপস্থিতের সুযোগে রেজাউল ইসলাম, আকিদুল ইসলাম এবং জাবেদ আলি নামে মাদরাসার তিন শিক্ষক এই কাজটি করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি বলেন, নতুন কিংবা পুরাতন বই যেটিই হোক বিক্রির এখতিয়ার তাদের নেই। এটি খোলা টেন্ডারের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন করে থাকে।

আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদরাসার চার শিক্ষক অনৈতিকভাবে ৪৯০ কেজি বই বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জি বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কেজি দরে বিক্রি করা ৪৯০ কেজি সরকারি বই উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১১:৫৫:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাগুরার শ্রীপুরে একটি মাদরাসায় বিক্রি করা প্রায় ৫শ কেজি সরকারি পাঠ্যবই উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদরাসা থেকে বিক্রি হওয়া ৪৯০ কেজি পাঠ্যবই ইজিবাইকে উঠানোর সময় উদ্ধার করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নে চারতলা নতুন ভবনবিশিষ্ট আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদরাসায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বসাকুল্যে দেড়শ জনের মতো। অথচ অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী দেখিয়ে প্রতি বছর অতিরিক্ত সরকারি বই সংগ্রহ করা হয়। ফলে গত বছরের বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৫শ কেজি অব্যবহৃত বই মাদরাসার স্টোরে পড়েছিল। রোববার বিকেলে ওই বইগুলো মুকুল বিশ্বাস নামে শ্রীপুরের খামারপাড়া বাজারের একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির করেন মাদরাসার সহকারী সুপার আছাদুজ্জামানসহ চার শিক্ষক। বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি পাঠ্যবই অতি গোপনে স্থানান্তরের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বইগুলো উদ্ধার করেন।

গোপনে সরকারি বই বিক্রির ব্যাপারে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তার অনুপস্থিতের সুযোগে রেজাউল ইসলাম, আকিদুল ইসলাম এবং জাবেদ আলি নামে মাদরাসার তিন শিক্ষক এই কাজটি করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি বলেন, নতুন কিংবা পুরাতন বই যেটিই হোক বিক্রির এখতিয়ার তাদের নেই। এটি খোলা টেন্ডারের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন করে থাকে।

আমতৈল জেটিএস কাদেরীয়া (রহঃ) দাখিল মাদরাসার চার শিক্ষক অনৈতিকভাবে ৪৯০ কেজি বই বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জি বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।