ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মদনে প্রয়াত সাংবাদিকদের স্বরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল ঈদে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বিশেষ সম্মানি দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বাংলাদেশে ব্যবসা করবেন ট্রাম্প, নিলেন ট্রেড লাইসেন্স সব মামলায় খালাস তারেক রহমান, ‘দেশে ফিরতে বাধা নেই’ অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ঈদের চাঁদ ২৯ রমজানে দেখার সম্ভাবনা নেই, জানা গেলো কারণ নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফেরায় যা বললেন মেহেদি ঈদ উপলক্ষ্যে বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ইসলামি পোশাক পরে পরকালের কথা বললেন সিমরিন লুবাবা

সাটুরিয়ায় বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২০ বার

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ বছর এখন পর্যন্ত বোরো মৌসুমে ১৬৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছে সাটুরিয়া উপজেলার কৃষকেরা। এবার বুড়ো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৩৫০ হাজার হেক্টর। এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বিক মনিটরিং করছেন। ৯টি ইউনিয়নে কৃষকরা ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন, আবার কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছেন।

স্থায়ীভাবে জমিতে ডিপ টিউবওয়েল ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে মিঠাপানি তুলে কৃষকরা অবাধে চাষাবাদ করছেন বোরো ধান। এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই পূরণ হবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

তিল্লি, হড়গজ, সাটুরিয়া, বরাইদ, দিঘলিয়া, বালিয়াটি, ধানকোরা ও দড়গ্রাম ইউনিয়ন নিয়ে সাটুরিয়া উপজেলা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুরোদমে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। এসব জমিতে ব্রি-ধান ৯২, ২৯, ৭৪, ৮৭ ও ১০০ জাতের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক হাইব্রিড জাতের ধান চাষে বেশি আগ্রহী, কারণ এতে ফলন বেশি হয়।

বালিয়াটি ইউনিয়নের শিমুলিয়া এলাকার কৃষক আবুল বাশার বলেন, আমি এবার বোরো ধান রোপণ করেছি প্রায় ২ শত শতাংশ জায়গায়। আমি প্রতিবছরই দুই থেকে আড়াইশত শতাংশ জায়গা বোরো ধান রোপণ করে থাকি। আমাদের প্রতি বিঘা বোরো ধানের খরচ পড়ে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। সারের দামটা যদি আর একটু কম হতো তাহলে আমাদের খরচ টা কমে যেত, আসলে প্রতি বছরই আমাদের ধান চাষ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কারণ হচ্ছে প্রত্যেকটা কৃষি পণ্যের দাম বেশি। তার মধ্য শ্রমিকের দাম একটু বেশি চড়া।

বালিয়াটি ইউনিয়নের ভাটারা গ্রামের আরেক কৃষক আবুল কাসেম বলেন, তিনি জমির মালিকের কাছ থেকে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছেন। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে তাতে সেচের মাধ্যমে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করে বর্তমানে শ্রমিক দিয়ে চারা রোপণ করছেন তিনি। এতে প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে সেচ খরচ ২৫০০/৩০০০ টাকা দিতে হয়, সবকিছু মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হয়। আবুল কাসেম এ বছর বিআর ব্রি-ধান ২৯ জাতের ধান রোপণ করেছেন এবং আবহাওয়া ভাল থাকলে আশানুরূপ ফলন হবে বলে আশা করেন।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবদুল্লা আল মামুন বলেন, এ বছর সাটুরিয়া উপজেলায় ৫৩৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে প্রয়াত সাংবাদিকদের স্বরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

সাটুরিয়ায় বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা

আপডেট টাইম : ০৭:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ বছর এখন পর্যন্ত বোরো মৌসুমে ১৬৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছে সাটুরিয়া উপজেলার কৃষকেরা। এবার বুড়ো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৩৫০ হাজার হেক্টর। এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বিক মনিটরিং করছেন। ৯টি ইউনিয়নে কৃষকরা ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন, আবার কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছেন।

স্থায়ীভাবে জমিতে ডিপ টিউবওয়েল ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে মিঠাপানি তুলে কৃষকরা অবাধে চাষাবাদ করছেন বোরো ধান। এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই পূরণ হবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

তিল্লি, হড়গজ, সাটুরিয়া, বরাইদ, দিঘলিয়া, বালিয়াটি, ধানকোরা ও দড়গ্রাম ইউনিয়ন নিয়ে সাটুরিয়া উপজেলা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুরোদমে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। এসব জমিতে ব্রি-ধান ৯২, ২৯, ৭৪, ৮৭ ও ১০০ জাতের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক হাইব্রিড জাতের ধান চাষে বেশি আগ্রহী, কারণ এতে ফলন বেশি হয়।

বালিয়াটি ইউনিয়নের শিমুলিয়া এলাকার কৃষক আবুল বাশার বলেন, আমি এবার বোরো ধান রোপণ করেছি প্রায় ২ শত শতাংশ জায়গায়। আমি প্রতিবছরই দুই থেকে আড়াইশত শতাংশ জায়গা বোরো ধান রোপণ করে থাকি। আমাদের প্রতি বিঘা বোরো ধানের খরচ পড়ে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। সারের দামটা যদি আর একটু কম হতো তাহলে আমাদের খরচ টা কমে যেত, আসলে প্রতি বছরই আমাদের ধান চাষ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কারণ হচ্ছে প্রত্যেকটা কৃষি পণ্যের দাম বেশি। তার মধ্য শ্রমিকের দাম একটু বেশি চড়া।

বালিয়াটি ইউনিয়নের ভাটারা গ্রামের আরেক কৃষক আবুল কাসেম বলেন, তিনি জমির মালিকের কাছ থেকে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছেন। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে তাতে সেচের মাধ্যমে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করে বর্তমানে শ্রমিক দিয়ে চারা রোপণ করছেন তিনি। এতে প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে সেচ খরচ ২৫০০/৩০০০ টাকা দিতে হয়, সবকিছু মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হয়। আবুল কাসেম এ বছর বিআর ব্রি-ধান ২৯ জাতের ধান রোপণ করেছেন এবং আবহাওয়া ভাল থাকলে আশানুরূপ ফলন হবে বলে আশা করেন।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবদুল্লা আল মামুন বলেন, এ বছর সাটুরিয়া উপজেলায় ৫৩৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।