ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গা-চারণ ভূমিতে শসা চাষাবাদ বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার সমিতির ৪ সভাপতিকে ফের শোকজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩ বার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি এলাকায় সরকারি গো-চারণ ভূমিতে ঘাসের পরিবর্তে শসার চাষাবাদ করায় ৪ দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সভাপতিকে শোকজ করা হয়েছিল।

এ শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবারো তাদের নোটিশ দিয়েছে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ।

তারা হলেন, ওই উপজেলার দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল হাকিম মানিক, তাহেজ প্রমানিক, ফারুক আহমেদ ও আব্দুল মজিদ আকন্দ।

মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ছাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ২১ ডিসেম্বর মিল্কভিটার পক্ষ থেকে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে বাথান ভূমির বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি মৌজায় বরাদ্দ দেয়া ভূমিতে অবৈধভাবে শসা চাষ করায় ওই ৪ সভাপতিকে ১৮ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারা ওই নোটিশের জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। এ কারণে ৩ ফেব্রুয়ারি আবারো তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিল্কভিটার আওতায় এক হাজার একরের বেশি গো-চারণ ভূমি রয়েছে। এসব গো-চারণ ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারিভাবে স্বল্প মূল্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালনপালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা।

অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্কভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ওই উপজেলার বৃ-আঙ্গারু এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাব-বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা এ শসা চাষাবাদ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে শসা চাষে লাভবান হলেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন খামারিরা। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসন ওই বাথান এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গা-চারণ ভূমিতে শসা চাষাবাদ বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার সমিতির ৪ সভাপতিকে ফের শোকজ

আপডেট টাইম : ০৮:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি এলাকায় সরকারি গো-চারণ ভূমিতে ঘাসের পরিবর্তে শসার চাষাবাদ করায় ৪ দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সভাপতিকে শোকজ করা হয়েছিল।

এ শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবারো তাদের নোটিশ দিয়েছে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ।

তারা হলেন, ওই উপজেলার দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল হাকিম মানিক, তাহেজ প্রমানিক, ফারুক আহমেদ ও আব্দুল মজিদ আকন্দ।

মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ছাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ২১ ডিসেম্বর মিল্কভিটার পক্ষ থেকে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে বাথান ভূমির বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি মৌজায় বরাদ্দ দেয়া ভূমিতে অবৈধভাবে শসা চাষ করায় ওই ৪ সভাপতিকে ১৮ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারা ওই নোটিশের জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। এ কারণে ৩ ফেব্রুয়ারি আবারো তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিল্কভিটার আওতায় এক হাজার একরের বেশি গো-চারণ ভূমি রয়েছে। এসব গো-চারণ ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারিভাবে স্বল্প মূল্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালনপালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা।

অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্কভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ওই উপজেলার বৃ-আঙ্গারু এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাব-বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা এ শসা চাষাবাদ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে শসা চাষে লাভবান হলেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন খামারিরা। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসন ওই বাথান এলাকা পরিদর্শন করেছেন।