ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ হাওরের থৈ থৈ জলে মুগ্ধ পর্যটকরা, দিন দিন বাড়ছে মানুষের ভিড় মদনে শিক্ষক ও সার্ভেয়ার লাঞ্ছিত ঘটনায় থানায় মামলা, গ্রেফতার ৪ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতিতে দায়িত্ব হস্তান্তরে গড়িমসি, নতুন সভাপতির অভিযোগ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লি.’এর ব্যবস্থাপনা কমিটি ভেঙে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন বড় ভাই শিক্ষক লাঞ্ছিত হতে দেখে ছোট ভাই বিএনপি নেতার মৃত্যু বৃষ্টির দোহাই দিয়ে চালের দাম বাড়ালেন ব্যবসায়ীরা হজযাত্রীর কোটা এক হাজারই বহাল রাখতে অনুরোধ ধর্ম উপদেষ্টার মৃত্যুর ৭ দিন পর জনপ্রিয় অভিনেত্রীর লাশ উদ্ধার নিকলীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে অনুমোদনহীন ব্রিকস ফিল্ড, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা ছাগলনাইয়ায় সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

গা-চারণ ভূমিতে শসা চাষাবাদ বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার সমিতির ৪ সভাপতিকে ফের শোকজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩৫ বার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি এলাকায় সরকারি গো-চারণ ভূমিতে ঘাসের পরিবর্তে শসার চাষাবাদ করায় ৪ দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সভাপতিকে শোকজ করা হয়েছিল।

এ শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবারো তাদের নোটিশ দিয়েছে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ।

তারা হলেন, ওই উপজেলার দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল হাকিম মানিক, তাহেজ প্রমানিক, ফারুক আহমেদ ও আব্দুল মজিদ আকন্দ।

মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ছাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ২১ ডিসেম্বর মিল্কভিটার পক্ষ থেকে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে বাথান ভূমির বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি মৌজায় বরাদ্দ দেয়া ভূমিতে অবৈধভাবে শসা চাষ করায় ওই ৪ সভাপতিকে ১৮ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারা ওই নোটিশের জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। এ কারণে ৩ ফেব্রুয়ারি আবারো তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিল্কভিটার আওতায় এক হাজার একরের বেশি গো-চারণ ভূমি রয়েছে। এসব গো-চারণ ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারিভাবে স্বল্প মূল্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালনপালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা।

অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্কভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ওই উপজেলার বৃ-আঙ্গারু এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাব-বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা এ শসা চাষাবাদ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে শসা চাষে লাভবান হলেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন খামারিরা। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসন ওই বাথান এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জ হাওরের থৈ থৈ জলে মুগ্ধ পর্যটকরা, দিন দিন বাড়ছে মানুষের ভিড়

গা-চারণ ভূমিতে শসা চাষাবাদ বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার সমিতির ৪ সভাপতিকে ফের শোকজ

আপডেট টাইম : ০৮:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি এলাকায় সরকারি গো-চারণ ভূমিতে ঘাসের পরিবর্তে শসার চাষাবাদ করায় ৪ দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির সভাপতিকে শোকজ করা হয়েছিল।

এ শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবারো তাদের নোটিশ দিয়েছে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ।

তারা হলেন, ওই উপজেলার দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল হাকিম মানিক, তাহেজ প্রমানিক, ফারুক আহমেদ ও আব্দুল মজিদ আকন্দ।

মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ছাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ২১ ডিসেম্বর মিল্কভিটার পক্ষ থেকে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে বাথান ভূমির বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি মৌজায় বরাদ্দ দেয়া ভূমিতে অবৈধভাবে শসা চাষ করায় ওই ৪ সভাপতিকে ১৮ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারা ওই নোটিশের জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। এ কারণে ৩ ফেব্রুয়ারি আবারো তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিল্কভিটার আওতায় এক হাজার একরের বেশি গো-চারণ ভূমি রয়েছে। এসব গো-চারণ ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারিভাবে স্বল্প মূল্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালনপালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা।

অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্কভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ওই উপজেলার বৃ-আঙ্গারু এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাব-বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা এ শসা চাষাবাদ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে শসা চাষে লাভবান হলেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন খামারিরা। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসন ওই বাথান এলাকা পরিদর্শন করেছেন।