হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর এখনো রাজধানীর বাজারগুলোতে পণ্যের দামে প্রভাব পড়েনি। আলু, পেঁয়াজের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি আগের দাম অপরিবর্তিত। তবে শিগগির বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বাজারগুলোতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে কোনো পণ্যের দাম না বাড়লেও হঠাৎ করে ডিমের দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু ব্যবসায়ী বয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. আফজাল বলেন, পাইকারিতে হঠাৎ ডিমের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে ডিমের সরবরাহও কম। এ কারণে আমাদের বাড়তি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়েনি। অবশ্য এখন ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল, অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই শিগগির বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।
প্রায় একই ধরনের কথা বলেন, রামপুরার ব্যবসায়ী ফিরোজ। তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর কারণে এখনো জিনিপত্রের ওপর তার প্রভাব পড়েনি। তবে শিগগির বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। হয় তো আগামীকালই কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। কারণ তেলের দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যাবে।
এদিকে রামপুরা বাজারে ১৭০ টাকা কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি করা আলামিন বলেন, গতকাল বয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে। বাড়তি দামে কেনার কারণে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাম গতকালের মতো ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
অবশ্য বাজারটির বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা ও সোনালী মুরগির কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাড্ডা, কারওয়ান বাজার, খিলগাঁওয়া মালিবাগ অঞ্চলেও বেশিরভাগ ব্যবসায়ী বয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি করছেন।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকালের মতো এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজও গতকালের মতো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।
সবজির মধ্যে গাজর গতকালের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, কাঁচ কলা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজিও ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. সামছুল বলেন, তেলের দাম বাড়ার কারণে আজ সবজির দাম কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে দুই-একদিনের মধ্যে এর প্রভাব পড়বে। কারণ তেলের দাম বাড়ানোর কারণে এখন পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যাবে। আমাদের ধারণা আগামীকালই বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।