ইউক্রেনের শস্যবাহী প্রথম জাহাজ তুরস্কে পৌঁছেছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছয় মাস চলছে। এখনো চলছে দুপক্ষের লড়াই। তবে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে খাদ্যশস্য নিয়ে চুক্তির পর এই প্রথম শস্যবাহী একটি জাহাজ তুরস্কের বসফরাস প্রণালিতে পৌঁছেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ইউক্রেনের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ ছিল। তবে স¤প্রতি জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দুদেশ জাহাজ চলাচল আবারও শুরু করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছায়। তুরস্ক ও ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সোমবার সকালে ‘রাজোনি’ নামের সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটি ওডেসা থেকে লেবাননেরডড ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কিছু জাহাজ যাত্রা করবে বলেও জানিয়েছেন তারা। জাতিসংঘ ও তুরস্ক আলোচনার মাধ্যমে স্থির করেছে যে সাগরের এ কটি নিরাপদ করিডোর দিয়ে এই শস্যবাহী জাহাজ চলবে। প্রথম জাহাজটি ২৬ হাজার টন শস্য বহন করছে। কৃষ্ণসাগরে অবরোধ আরোপের কারণে গোটাবিশ্বে যে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা অস্বীকার করছে রাশিয়া। তবে গত মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নিরাপদে শস্য রফতানির সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

আর এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জাতিসংঘ এবং তুরস্কও সই করে। চুক্তির শর্ত বলছে, ইউক্রেন থেকে খাদ্যবাহী কোনো জাহাজে রাশিয়া আক্রমণ করবে না, তবে এসব জাহাজে করে ইউক্রেন যেন অস্ত্র আনা নেওয়া করতে পারে তা নিশ্চিত করবে তুরস্ক। ইউক্রেন বলছে, ওডেসা ও তার আশপাশের বন্দরগুলোতে আরো ১৬টি জাহাজ ৬ লাখ টন খাদ্যশস্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। এসব খাদ্যপণ্য আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেখানে সংকট রয়েছে, সেখানে রফতানি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্যশস্য রফতানির দিক থেকে ইউক্রেন বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সানফ্লাওয়ার তেলের ৪২ শতাংশ, ভুট্টার ১৬ শতাংশ এবং গমের ৯ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশটিতে। বিবিসি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর