হাওর বার্তা ডেস্কঃ মো. সমুজ আলী ও সনজব আলী দুই ভাই। তারা মিলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের ভুলকোট গ্রামে প্রায় ১০০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করেছেন। শিমের ফলন ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুই ভাই মিলে শিম ক্ষেতে কঠোর পরিশ্রম করছেন। শুধু তারা নয়, অন্যন্য কৃষকরাও এ জাতের শিম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছে গাছে শিম দেখা যায়। সেই শিম বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা এসেছে। অক্টোবর পর্যন্ত শিম উৎপাদন অব্যাহত থাকার কথা। ওই সময় পর্যন্ত আরও ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা শিম বিক্রি থেকে আসবে বলে তারা আশা করছেন তারা।
দুই ভাই আরও জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের সার্বিক পরামর্শে শিম চাষ করা হচ্ছে। এতে তারা সফল হয়েছেন। শুধু শিম নয় কুমড়া ও বেগুন চাষ করেছেন। ওই দুই সবজি বিক্রি করেও অর্থ আসছে। তাদের শিম চাষ দেখে এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝেও আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তারাও গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ শুরু করছেন।
উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম জানান, উপজেলার নানা এলাকায় শীতকালে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ হলেও গ্রীষ্মকালের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে সিকৃবি-১ জাতের শিম। এই শিম গ্রীষ্ম ও বর্ষার আবহাওয়া সহিষ্ণু। মূলত এই শিম চাষে উপজেলার ভুলকোট গ্রামে সফলতা পেয়েছেন দুই ভাই সমুজ আলী ও সনজব আলী। তাদের দেখাদেখি কৃষক দুলাল মিয়া ও সাদেক মিয়াসহ আরো অনেক কৃষক শিম চাষে সফল হচ্ছেন।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মো. আশেক পারভেজ বলেন, বাহুবলে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ হতো না। বর্তমানে সেখানে শিম চাষ করছেন কিছু কৃষক। ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। ভবিষ্যতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।