দিনাজপুরে পানিকচু চাষ করে সফল জিকরুল!

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পানিকচু চাষ করে সফল দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার জিকরুল হক। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে কচু চাষ করে পাল্টে গেছে জীবন। জিকরুলকে দেথে উপজেলায় অনেক চাষি পানিকচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। জানা যায়, চিরিরবন্দর আবহাওয়া পানিকচু চাষে উপযোগি। কাচুচাষে পরিশ্রম কম লাগের পাশাপাশি খরচ কম হয় বলে লাভ বেশি হয়ে থাকে।

জিকরুল হক বলেন, আমি সাড়ে ১২ শতক জমিতে স্বল্প পরিসরে পানিকচু চাষ করছি। কচুর চারা রোপণের ২০ দিন পর পর ৬ মাস পর্যন্ত হালকা নিড়ানি দিতে হয়। কচু গাছের যখন ৩ মাস বয়স হয় তখন গাছের গোঁড়ায় যে লতি বের হয় তা কেজি প্রতি খুচরা বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সাড়ে ১২ শতক জমিতে আমি প্রায় লতি বিক্রি করেছি ৪ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, কচু চাষ করতে তেমন বেশি মজুরি খরচ হয় না। কচু গাছের ৫ থেকে ৬ মাস বয়স সম্পূর্ণ হলে তা বাজারজাত করার উপযোগী হয়। বর্তমানে সময়ে বাজার মূল্য কম তাই প্রতিটি কচু পাইকারি মূল্য ১০ টাকা কচু বিক্রি শুরু করেছি। সাড়ে ১২ শতক জমিতে কচু চাষে মজুরি খরচ ও যাতায়াত খরচসহ মোট উৎপাদন খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত কচু বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার টাকা ও আরো ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বিক্রি হতে পারে। এতে চাষে লাভ হবে প্রায় ১০ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহুরা সুলতানা বলেন, চিরিরবন্দরের অনেক এলাকায় বর্ষাকালীন সময়ে কচু চাষের যথেষ্ট উপযোগী। ইতিমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে দেশি কচুর পাশাপাশি আমরা লতিরাজকচু, মুখীকচু, পঞ্চমুখীকচু, ওলকচু, দুধকচু, মানকচুও শোলকচু নামে বেশ কয়েকটি উন্নত জাতের লাভজনক কচু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি, পরামর্শ দিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর