ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে এসেছে।

তার মরদেহ সকাল পৌনে ৯টার দিকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে।

মরদেহ গ্রহণ করতে সকাল ৮টায় বিমানবন্দরে যান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলম। পৌনে নয়টায় যান সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। সকাল নয়টা ৫ মিনিটে বিমানবন্দরের আট নম্বর ফটক দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে বের হন তারা।

এ সময় ফজলে রাব্বি মিয়ার পরিবারের সদস্য ও সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলেই মরদেহ নিয়ে চলে যান।

বিমানবন্দর থেকে মরদেহ নেয়া হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। সেখানে সকাল সাড়ে ১০টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম নির্ধারিত সকাল সাড়ে ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় শুরু হবে।

গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের এই এমপি ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।

২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর