ফেসবুকে প্রেম, ইমরানকে পেতে গাজীপুরে আমেরিকান তরুণী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী কুমারভিটা এলাকায় ইমরান খান নামে এক যুবকের প্রেমের টানে আমেরিকা থেকে লিডিয়া লুজা নামে এক তরুণী বাংলাদেশে এসেছেন। সোমবার (১১ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, লিডিয়া লুজা খান (lIDIA lUZA kHAN) সোমবার ভোর তিনটার দিকে হজরত শাহজালাল অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে বরমীর যুবক ইমরান খান তাকে স্বাগত জানিয়ে বাড়িতে তোলেন।

এদিকে লিডিয়া লুজা (lIDIA lUZA kHAN) আমেরিকার অ্যারিজোনা স্টেটের বাসিন্দা। বাবা নেই, মা অন্য পরিবারের সদস্য। দুই ভাইয়ের একমাত্র বোন তিনি। ছোট বেলা থেকেই লিডা লুজা দাদুর সঙ্গে বড় হয়েছে। ধর্মান্তরিত হয়ে এখন তার নামের সঙ্গে স্বামীর পরিবারের উপাধি হিসেবে ‘খান’ শব্দটি যুক্ত হয়েছে। নিজ দেশে একটি চাকরিতে যুক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশের যুবক ইমরান খান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী কুমারভিটা এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তিনি ইস্টওয়েস্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

লিডিয়া লুজা খান জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে তাদের পরিচয়। আলাপচারিতায় ইমরানকে তার ভালো লেগে গেছে। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই সে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি আরও জানান, ইমরান ভালো মানুষ। প্রকৃতির মতোই এদেশের মানুষগুলো সহজ-সরল। সব মানুষ ইংরেজি না জানার কারণে, সবার সঙ্গে কথা বলতে একটু সমস্যা হয়। শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম অসুস্থ। তাই মাঝেমধ্যে আমেরিকা যাবেন। তবে বেশিরভাগ সময় স্বামী ইমরানের বাড়িতেই থাকবেন। শাশুড়ি সুস্থ হলে ইমরানকে নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করবেন।

ইমরান খান বলেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। মাসখানেক পর লিডিয়া লুজা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে সে তার প্রস্তাব বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। পরে মার্চ মাসের প্রথম দিকে আমেরিকা থেকে তুর্কি হয়ে লুজা বাংলাদেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চলে আসে। আমেরিকার নাগরিক হওয়ায় তার ধারণা ছিল, ভিসা ছাড়াই সে বাংলাদেশে আসতে পারবে। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে আবার তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

ইমরান আরও জানান, উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে তারা নেপালে সাক্ষাৎ করেন। নেপালের একটি মসজিদে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। লুজার সাথে কেউ না থাকলেও ইমরানের সাথে ওই সময় তার পরিবারের সদস্য ছিলেন। সেখানে কয়েকদিন অবকাশ কাটিয়ে যার যার দেশে ফিরে যান। পরে ইমরানের সহযোগিতায় ভিসা সম্পাদনের মাধ্যমে ১১ জুলাই সোমবার লিডা লুজা খান বাংলাদেশে আসেন।

প্রতিবেশী বাবুল মিয়া জানান, তার মতো অনেকেই এই দম্পতিকে দেখতে ইমরানের বাড়িতে আসছেন। আমেরিকার মেয়ে বলে কথা, তাও আবার বাংলাদেশি যুবকের প্রেমের টানে একেবারে বাংলাদেশের তৃণমূলের একটি গ্রামে। বিষয়টি এলাকার মানুষের মনে ভিন্ন আনন্দের যোগান দিয়েছে।

ইমরানের মা আনোয়ারা বেগম জানান, আমেরিকার মেয়েকে বিয়ে করায় তিনি খুশি হয়েছেন। যেহেতু ধর্মান্তরিত হয়ে তারা এ বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছে সেজন্য তিনি খুশি হয়েছেন। তাদের পারিবারিকভাবে মেনে নিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর