কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি হ্রাস পেতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে রাস্তা-ঘাট থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি পানি বন্দি মানুষের।
বন্যার পানি প্রবেশ করায় উপজেলার ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখেছে শিক্ষা বিভাগ। টানা ৫দিন ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব এলাকার প্রায় ৫শ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, বাদামসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
অন্যদিকে ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে করে ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পোড়ারচর ও পূর্ব তিন হাজারী গ্রাম প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নি¤œাঞ্চলের দুই গ্রামের অন্তত শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার মানুষ নৌকা ও কলা গাছের ভেলায় করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে গত সাত দিন ধরে একটু একুট করে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যাত্রাপুর ইউনিয়নের সব থেকে নি¤œাঞ্চল পোড়ারচর ও পূর্ব তিন হাজারী নামের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পোড়ার চরের ৪০ পরিবার ও পূর্ব তিন হাজারী গ্রামের ৬৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুটি গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দির বিষয়টি স্বীকার করে যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, বিষয়টি শোনার পর সরেজমিনে এলাকা দুটি পরিদর্শন করেছি। দুটি গ্রামে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি যে হারে বাড়ছে, এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে অনান্য এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই মুহুর্তে বন্যার কোন আশংকা নেই। দুই/তিন দিন পর পুর্বাভাস পাওয়া গেলে বন্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর