মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা লাগানোর অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিয়ে বাড়িতে পূর্ব পরিচিত এক মেয়ের সঙ্গে কথা বলায় ২০ ও ২২ বছর বয়সী দুই যুবকের মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য সায়েম গাজীর বিরুদ্ধে।

গত ৭ জুন বিকেলে উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের স্লুইজগেট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসন এলাকার অহিদুল মৃধার বিয়ে ছিলো। বিয়েতে অন্যান্যদের সঙ্গে ওই দুই যুবক বরযাত্রী হিসেবে যান। দুপুরের খাবার শেষে তাদের পূর্ব পরিচিত এক মেয়ের সঙ্গে তারা দাঁড়িয়ে কথা বলেন। বিষয়টি ওই মেয়ের ভাই দেখে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই দুই যুবককে  ইউপি সদস্য সায়েম গাজীর অস্থায়ী কার্যালয়ে নিয়ে যান। এসময় সায়েম গাজী স্থানীয়দের সহায়তায় ওই দুই যুবকের মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা লাগিয়ে দেন। পরে তারা লোকলজ্জার ভয়ে পালিয়ে থাকেন। বুধবার সকালে তাদের পরিবারের সদস্যরা খুঁজে বের করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

নির্যাতনের শিকার ওই দুই যুবক  বলেন, ‘আমরা কোনো অপরাধ করিনি। কিন্তু এমন সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। এ ঘটনার বিচার চাই।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) চর বিশ্বাস ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসান সর্দার বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে তার বিচার করার সুযোগ আছে। তাদের পরিবারের লোকজন ডেকে কথা বলা যেত। কিন্তু এই আধুনিক সমাজে এভাবে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা দেওয়ার ঘটনাটা অমানবিক। আমরা এ ঘটনায় বিচার চাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সায়েম গাজী পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘কোন শালিস বৈঠক হয়নি এবং আমি কারো মাথা ন্যাড়া করে দেইনি।’

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত আনোয়ার জানান, বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর