ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও নিহত ১৯: জাতিসংঘ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠী ও সউদি-আমিরাত সামরিক জোটের চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও দেশটিতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৩২ জন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন শিশুও রয়েছে। এ হতাহতদের হতাহতদের সবাই বেসামরিক সাধারণ মানুষ। -আরব নিউজ

রবিবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার লিজ থ্রোসেল। সংবাদ সম্মেলনে থ্রোসেল বলেন, যুদ্ধবিরতির শুরুর দিকে, অর্থাৎ এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘটেছে এসব নিহত ও আহতের ঘটনা। হতাহতদের অধিকাংশই মাটিতে পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড মাইন বিস্ফোরণের শিকার। এছাড়া তিন জনের মৃত্যু হয়েছে স্নাইপার বন্দুকের গুলিতে। আহতদের মধ্যে চারজন ড্রোন হামলার শিকার হয়েছেন, দুই জন আহত হয়েছেন বন্দুক হামলায়।

 ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে ২০১৫ সালে দেশ থেকে পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর আব্দ রাব্বু আল হাদি। সউদি-সমর্থিত আল হাদিকে ক্ষমতায় ফেরাতে ২০১৬ সাল থেকে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে সউদি-আমিরান সামরিক জোট। যুদ্ধের প্রায় ৬ বছর পর চলতি বছর ২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হুথি ও সউদি-আমিরাত সামরিক জোট।

২ জুন, বৃহস্পতিবার ছিল সেই যুদ্ধ বিরতির শেষ দিন। তবে এই শেষ দিনেই বিবদমান দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি আরও দুই মাস বর্ধিত করতে সম্মত হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ,যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যুদ্ধবিরতির বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

এদিকে, ইয়েমেন যুদ্ধের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা ইয়েমেনি নেটওয়ার্ক ফর রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন, ২ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তাইজে ১১৯টি মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে হত্যা, আহত করা, অপহরণ, জনগণকে বাস্তুচ্যুত করা এবং শিশুদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধা দেওয়া।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর