বিশ্বখাদ্য সংকট নিরসনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ পুতিনের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকট নিরসনে সহায়তার উপায় নিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিয়ো দ্রাঘির সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার এই আলোচনা হয়েছে। তবে ক্রেমলিন জানিয়েছে, পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই কেবল এই সংকট নিরসন হতে পারে।

মস্কোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভ্লাদিমির পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন রাশিয়ান ফেডারেশন শস্য ও সার রপ্তানির মাধ্যমে খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে প্রস্তুত, তবে শর্ত থাকে যে পশ্চিমাদের আরোপ করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।’
রাশিয়ার অবস্থানকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইউক্রেন। এছাড়া ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট খাদ্য সংকটকে অস্ত্র বানিয়ে ‘বিশ্বের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা’ করছেন পুতিন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, শস্য রপ্তানি সুরক্ষিত করতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিয়ো দ্রাঘি জানান তিনি রুশ নেতার সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি মনে করেছি মানবিক সংকটের এই ভয়াবহতা বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রদের প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে (এই উদ্যোগ) নেওয়া আমার কর্তব্য।’

ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুতিন তাকে বলেছেন নিষেধাজ্ঞার কারণেই খাদ্য সংকট। দ্রাঘি বলেন, ‘আমি আরও সুনির্দিষ্ট, অপেক্ষাকৃতছোট ইস্যুতে আগ্রহী, সেটি হচ্ছে কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে আটকে থাকা বিপুল পরিমাণ শস্য মুক্ত করতে পারি কিনা তা দেখার চেষ্টা করা।’ এই ইস্যুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।
ইউক্রেনীয় বন্দরে রাশিয়ার অবরোধের কারণে শস্য রফতানি আটকে গেছে। উভয় দেশই শস্যের বড় রফতানিকারক। রাশিয়ার অভিযোগ বন্দরগুলোতে মাইন বসিয়েছে ইউক্রেন।

অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে বেসামরিক জাহাজগুলো এখন নিরাপদে ইউক্রেনের মারিউপোলের আজভ সাগর বন্দর ব্যবহার করতে পারে। সেখানে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা অবরুদ্ধ আজভস্টাল স্টিল কারখানায় আত্মসমর্পণের পরে গত সপ্তাহে রুশ বাহিনী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা জানিয়েছে মারিউপোল বন্দর ঘিরে রাখা মাইনের বিপদ এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, বন্দরে অবস্থান করা ছয়টি বিদেশি শুকনো পণ্যবাহী জাহাজ এখন ছেড়ে যেতে পারে। জাহাজগুলো বুলগেরিয়া, ডোমিনিকা, লাইবেরিয়া, পানামা, তুরস্ক এবং জ্যামাইকার। এসব দেশের সরকারকে জাহাজের মালিকদের সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাতে অনুরোধ করেছে ক্রেমলিন। সূত্র: রয়টার্স

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর