লোকালয়ে একজোড়া বন্যহাতি: কয়েকঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফিরলো বনে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়ায় লোকালয়ে হানা দিয়েছে দুই বন্যহাতি। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বিটের তেলখোলা বটতলী এলাকার বন থেকে হাতি দুটি অকস্মাৎ লোকালয়ে ঢুকে পড়লে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে এলিফ্যান্ট রেসকিউ টিমের বনবিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় বিকেলে তারা হাতি দুটিকে বনে ফেরাতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম।

 

থাইংখালীর বিট কর্মকর্তা মো. রাকিব হোসেন বলেন, গ্রামবাসী খবর দেয় লোকালয়ে একজোড়া হাতি ঢুকে পড়েছে। অনেকে ভয়ে ঘর থেকে বের না হলেও শিশু-কিশোর ও উৎসুক জনতা হাতি দুটির আশপাশে ভিড় জমায়। বিষয়টি ডিএফওকে জানিয়ে এলিফ্যান্ট রেসকিউ টিমকে সঙ্গে নিয়ে থাইংখালী, ওয়ালা ও দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা-ফরেস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বন্যহাতি দুটিকে বিকেলের দিকে নিরাপদে বনে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হই আমরা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ি ছরায় পানি বেড়েছে। মনে হচ্ছে পানি খেতে বা পানিতে খেলতে হাতি দুটি পাহাড় থেকে নেমে আসে। ঘুরতে ঘুরতে তারা লোকালয়ে চলে এসেছিল।

ডিএফও বলেন, এখন কাঁঠাল ও ধান পাকার সময়। এসময় কাঁঠাল ও পাকা ধান খেতেও হাতিরপাল ধানক্ষেত ও লোকালয়ে আসতে পারে।

তিনি অনুরোধ করে বলেন, কক্সবাজারের চলমান সময়ে অধিকাংশ বসতি পাহাড়ের পাদদেশে। যা হাতি চলাচল ও বিচরণের জায়গা হিসেবে পরিচিত। তাই, সবার প্রতি অনুরোধ হাতির পাল পাকা ধান খেলে, ফলজ বাগান নষ্ট করছে দেখলে বনবিভাগকে খবর দিন। এদের অতিরিক্ত বিরক্ত করবেন না। ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় হাতি ক্ষতি করলে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ সরকার পরিশোধ করবে। বন্যপ্রাণী ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালানো সবার নৈতিক দায়িত্ব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর