সাকিবের ব্যাটিং তাণ্ডবের ম্যাচে সাব্বিরের সেঞ্চুরির আক্ষেপ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং তাণ্ডবের ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাব্বির রহমান রুম্মনকে।

মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়া তারকা ব্যাটার সাব্বির।

মঙ্গলবার বিকেএসপির মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ পর্বের ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের দুই তারকা ব্যাটার সাকিব ও সাব্বির।

উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান যোগ করে রূপগঞ্জ। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে নাঈম ইসলামের সঙ্গে সাবলীল ব্যাটিং করে তৃতীয় উইকেটে ১০৩ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করেন সাব্বির।

৩৮ ওভার শেষে রূপগঞ্জের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৬ রান। ৩৯তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। শুরুর চার বলে সাকিব করেন মাত্র দুই রান। ৪০তম ওভার থেকেই ব্যাটিং তাণ্ডব শুরু করেন সাকিব। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল আতিকের বলে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় শুরু। পরের বলে কাট করে চার। পরেরটি বিশাল ছক্কা স্লগ সুইপে। পরের বলে আবার স্লগ করেন, এবার ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে কিপারের পাশ দিয়ে চার।

পরের ওভারে সৈয়দ খালেদের বলে চার মারেন নান্দনিক এক ইনসাইড আউট শটে। ৪২তম ওভারে আল আমিনের অফ স্পিনে বাউন্ডারি আদায় করেন টানা দুটি। প্রথমটি কাট শটে, পরেরটি ইনসাইড আউটে। ১৪ বলে সাকিবের রান হয় ৩৯। পরের বলে নেন সিঙ্গেল।

পরের দুই বলে চার-ছক্কা হলে রেকর্ড গড়তে পারতেন সাকিব। সেটি আর হয়নি। তবে আল আমিনের পরের ওভারে আরেকটি ছক্কা মারেন জায়গা বানিয়ে খেলে ওয়াইড লং অফ দিয়ে। ওই ওভারেই ফিফটি স্পর্শ করেন ২১ বলে। ২৬ বলে ৬টি বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায় ৫৯ রান করে ফেরেন সাকিব।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি এটি। দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ফরহাদ রেজার। ২০১৯ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ২০ বলে ৫৬ রানের ইনিংসের পথে ফরহাদ ফিফটি করেন ১৮ বলে।

দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি নাজমুল হোসেন মিলনের। ২০০৭ সালে জাতীয় লিগের ওয়ানডে সংস্করণে ঢাকা বিভাগের হয়ে ধানমন্ডি মাঠে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ১৯ বলে। কাকতালীয়ভাবে ফরহাদের মতো নাজমুলের ইনিংসটিও ছিল ২০ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের।

সাকিব আউট হওয়ার পরও উইকেটে ছিলেন সাব্বির। ৫৩ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর রানের গতি বাড়িয়ে তিনি সম্ভাবনা জাগান তিন অঙ্ক ছোঁয়ার। ৪৯তম ওভারে পেসার মারাজ মাহবুবের বলে স্কুপ করতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি। বল আলত করে উঠে যায় কিপার আকবর আলির হাতে। তার আগে ৮৩ বলে ৬টি বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৯০ রান করেন সাব্বির।

সাকিব-সাব্বিরের ব্যাটিং তাণ্ডবের ম্যাচে ৫০ ওভারে ২৯৩ রান করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর