বিজিবি`র দেওয়া মামলায় যুবলীগ নেতা আটক

দিলীপ কুমার দাসঃ নেত্রকোণার কলমাকান্দায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিজিবির দায়ের করা মামলায় যুবলীগ নেতা মো. সোহান মিয়াকে (২৮) আটক করেছে থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দিনগত রাতে লেংগুড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

লেংগুড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার এবং তারানগর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. সোহান মিয়া। তিনি ওই মামলায় তিন নাম্বার বিবাদী । সে পেশায় বাজারের একজন ঔষধ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।

এ মামলার অন্যান্য বিবাদীরা হলো- কলমাকান্দা উপজেলার একই ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের ইয়াসিন (৩০), গৌরিপুর গ্রামের ইসমাইল (৩৫), লেংগুড়া গ্রামের মো. সুমন মিয়া (২৫) ও কালাপানি গ্রামের মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (৩০)।

আজ শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামি ধরতে পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য যে, মামলার এজাহারের সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরের দিকে বিজিবি সদস্যদের দেখে এক ব্যক্তি দুই বস্তা সুপারি ফেলে পাশের বাড়িঘরের দিকে পালিয়ে যান। তাকে ধরতে গেলে বিবাদীরা বাধা দেন। সুপারি জব্দ করতে গেলে তারা গালাগাল করেন। এক বিজিবি সদস্যকে মারধর ও অস্ত্র ধরে টানাটানি করেন বিবাদীরা। পরে এবিষয়ে গত রোববার উপজেলার সীমান্তবর্তী লেংগুড়া বিওপির হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিন বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় গণমাধ্যমকর্মী ইয়াসিন মিয়াকে প্রধান করে চারজনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরো ১৪/১৫ জন অজ্ঞাত নামা বিবাদী করে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আটককৃত সোহানের বাবা সিদ্দিককুর রহমান সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঘটনার দিন আমি ও আমার ছেলে সোহান লেংগুরা বাজারে ঔষধের দোকানে বসে ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে বিওপি সুবেদার নূর মাহমুদ আমাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে ফুলবাড়িতে টহল টিমের সাথে স্থানীয়দের সমস্যা সমাধানে যেতে বলেন। এরপর উনি আমার দোকানে আসেন। তারপর আমি ও সুবেদার এক মোটরসাইকেল এবং আমার ছেলে ও বিওপির এক সৈনিক অন্য মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে যাই। পরে সকলের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত করি। আমার ছেলেকে জড়িয়ে বিজিবি মামলা করায় আমি হতাশ। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকর্মী ইয়াসিন সাংবাদিকদের জানান , বিজিবি সদস্যরা গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষকে মারধর শুরু করে। আমি এসবের ভিডিও করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এক পর্যায়ে আমাকে গুলি করার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে তারা আমার মোবাইলফোন ফেরত দেয়।

গণমাধ্যমকর্মী ইয়াসিন আরও বলেন, ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিজিবির সাথে বিষয়টি মীমাংসা হয়। কিন্তু ওইদিনগত রাত ১টা ৩৫ মিনিটে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেছে বিজিবি। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতেই মূলত এই মামলা দায়ের। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর