পকেট কাটছে দূরপাল্লার বাস ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগেই ব্যবসায়ীরা প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। বাধ্য হয়েই রোজাদাররা বেশি দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। রমজান মাস চললেও কয়েকদিন পর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঢাকায় কর্মরত পেশাজীবী মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাবেন। এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রায় ৮০ লাখ থেকে এক কোটি মানুষ আগামী কয়েকদিনে ঢাকা ছাড়বেন। ফলে রেল, নৌ-পথের চেয়েও বেশি চাপ পড়বে সড়ক পথে। আর এই সুযোগ নিয়ে বাস মালিকরা দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে চলাচল করা প্রতিটি রুটের বাস ভাড়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে বিভিন্ন জেলা রুটের বাস ভাড়াও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। গত দু’দিন সরেজমিন গাবতলী, কল্যাণপুর এলাকা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে শ্যামলী, হানিফসহ কয়েকটি বাসের জরিমানাও করেছে।
ভুক্তোভোগী যাত্রীদের অভিযোগ বাধ্য হয়েই তারা বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কাটছেন। কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে যারা বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন এমন কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, তারা গ্রামে ঈদ করতে যাবেন। বাধ্য হয়েই বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কাটছেন। কাউন্টারে বেশি টাকা নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং ফিরতি পথে যাত্রী পাওয়া যাবে না এমন অজুহাত দিচ্ছেন।
জানা যায়, ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে কয়েকটি বাস। রাজধানীর গাবতলীতে বাসের টিকিট কিনতে এসেছেন মো. আমিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি যাবেন দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জে। মো. আমিন হানিফ পরিবহনের ২৮ এপ্রিলের টিকিট কেটেছেন ৯৫০ টাকায়। তিনি বলেন, মাসখানেক আগে সর্বশেষ বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন ভাড়া ছিল ৮০০ টাকা। কিন্তু টিকিট বিক্রেতারা বলছেন, ৯৫০ টাকাই নাকি স্বাভাবিক ভাড়া। মো. আমিন আরো জানান, গত বছর কোরবানির ঈদেও তিনি খেতাবগঞ্জ গিয়েছিলেন ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে। তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
রাজধানীতে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলগামী বেশিরভাগ বাসের টিকিট বিক্রি হয় গাবতলী ও কল্যাণপুরে। গতকাল দুপুরে এই দুটি বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে যাত্রীদের খুব একটা ভিড় নেই। অনেক পরিবহন টিকিট বিক্রি শুরু করছে অনলাইনে। টিকিট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম দিন ২৮ ও ৩০ এপ্রিলের টিকিটের চাহিদা বেশি। তবে অনেক পরিবহন এখনো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেনি।
রাজধানীর কয়েকটি টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, এসি বাসগুলোর ভাড়া তুলনামূলক বেশি রাখা হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এসি বাসের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। মোহাম্মদ হারুন নামের এক যাত্রী ইনকিলাবকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে রংপুর পর্যন্ত এসি বিজনেস ক্লাসে ১ হাজার ৪০০ টাকার বেশি কেউ নিত না। কিন্তু এখন সহজ ডটকমে (অনলাইনে বাসের টিকিট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান) এসি বিজনেস ক্লাসে এস আর ট্রাভেলস, নাবিল পরিবহন, শাহ আলী পরিবহনে ভাড়া দেখাচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা। তাই এসি বাদ দিয়ে পরিবারের ৪ সদস্যের জন্য নন-এসি বাসের টিকিট কিনতে এসেছেন।

সরোয়ার নামের একজন জানান, বগুড়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি রুটের বাস ভাড়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ঈদে উপলক্ষে বাস ভাড়া বৃদ্ধি পায়। আর এ বিষয়টি যাত্রীরা কষ্টের হলেও সহজেই মেনে নেয়। কারণ তাদের প্রতিবাদ করার কোনো জায়গা থাকে না। গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যেতে না পারলেও এবার অনেকেই বাড়িতে ঈদের প্রস্তুস্তি নিচ্ছেন। গত দুই বছর ঈদে লোকজন সবাই গ্রামের বাড়িতে যেতে না পারলেও নানা কারণে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পেছে। বাসের ভাড়া বাড়ানো থেকে বিরত থাকেননি পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাসমালিকদের চাপে ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। ফলে এবার ঈদুল ফিতরে বাড়ি যেতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। ইতোমধ্যে আবার ঈদ সামনে রেখে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বাসমালিকদের বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন রোডে নির্ধারিত ভাড়া থাকলেও মানা হচ্ছে না কোনো সিদ্ধান্তই। মালিক ও কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা ইচ্ছে মতোই ভাড়া নিচ্ছেন। তবে যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাস ভাড়া বেশি নেয়া হয় অন্য কৌশলে। যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করার পর টিকিটির গায়ে নির্ধারিত মূল্য উল্ল্যেখ করা হলেও বকশিশ বা সৌজন্য হিসেবে নেয়া হয় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি। কিন্তু এই মূল্য টিকিটিরে গায়ে উল্লেখ থাকে না বলে যাত্রীরা কারো কাছে অভিযোগ করতে পারেন না। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কয়েকজন টিকিট কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা কর্মীরা।
এবার ঈদে নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। এ জন্য সাধারণ ভাড়া ঈদেও কার্যকর থাকবে। এটি সরকার নির্ধারিত ভাড়া। তবে এসি বাসের জন্য এই ভাড়া প্রযোজ্য নয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাসমালিকদের চাপে ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। যার ফলে এবার ঈদুল ফিতরে বাড়ি যেতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। এর মধ্যেই আবার ঈদ সামনে রেখে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বাসমালিকদের বিরুদ্ধে। যাত্রীদের অভিযোগ, এসি বাসগুলোর ভাড়া চাওয়া হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ।

 

সাধারণ গণপরিবহনেও নেয়া হচ্ছে ইচ্ছে মতো ভাড়া। তবে বাসমালিকেরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত বাসভাড়াই নেয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। আর এসি বাসের ভাড়া চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারণ করেন মালিকেরা। ইতোমধ্যে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে কয়েকটি বাস। বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করছেন বাসমালিকেরা। তাদের দাবি, অন্য সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার ওপর যাত্রীদের ছাড় দেয়া হয়। ঈদে সেটা হচ্ছে না। তাই যাত্রীদের কেউ ভাবছেন, বর্ধিত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়াই নেয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। আর এসি বাসের ভাড়া চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারণ করেন মালিকরা। গত বৃহস্পতিবার আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লা রুটে আরামদায়ক সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ৫১ আসনের জায়গায় ৪০ আসন বিশিষ্ট বাসের সংশোধিত (নভেম্বর-২০২১) ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজের জন্য আশুলিয়া থেকে বাইপাইল সড়ক সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারাই এ সড়কটি দেখভাল করছেন। এছাড়া এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের আওতায় থাকায় সেটিও তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এ কারণে সড়কটিতে সংস্কার কাজ করছেন তারা।
গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লা রুটে আরামদায়ক সার্ভিস প্রদানের নিমিত্ত ৫১ আসনের স্থলে ৪০ আসন বিশিষ্ট বাসের সংশোধিত ভাড়ার তালিকায় দেখা গেছে সওজ হতে প্রাপ্ত দূরত্ব অনুযায়ী প্রতি কি.মি. ১.৮০ টাকা হিসাবে বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। এতে দেখা গেছে ঢাকা (গাবতলী)-ফরিদপুর, ভায়া-পাটুরিয়া ১০৯.৭ কিমি. গন্তব্যের আদায়যোগ্য ভাড়া ৩১৬ টাকা। কিন্তু নেয়া হচ্ছে ৪৫০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)- আলফাডাঙ্গা, ভায়া-পাটুরিয়া, ফরিদপুর ১৫৮ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৪২৭ টাকা। নেয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-মোকসেদপুর, ভায়া-পাটুরিয়া, ফরিদপুর ২০৩ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৫৩০ টাকা। দিতে হয় ৬০০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-বরিশাল, ভায়া-পাটুরিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর।
২৪২ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৬২৬ টাকা। দিতে হয় ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-পটুয়াখালী, ভায়া-পাটুরিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল ২৭৮ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৭২২ টাকা। নেয়া হয় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-মাদারীপুর, ভায়া-পাটুরিয়া, ফরিদপুর ১৭৭ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৪৭০ টাকা। নেয়া হয় ৬৫০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-রাজবাড়ী, ভায়া-পাটুরিয়া, গোয়ালন্দ ১০৮ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৩১২ টাকা। নেয়া হয় ৫০০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-যশোর, ভায়া-পাটুরিয়া, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ ২৩২ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৫৯৭। দিতে হয় ৭০০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-যশোর, ভায়া-পাটুরিয়া, ফরিদপুর, মাগুরা, আড়পাড়া ২১২ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৫৫১। নেয়া হয় ঢাকা ৬৫০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-কালিগঞ্জ, ভায়া- পাটুরিয়া, ফরিদপুর, মাগুরা, আড়পাড়া, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা ৩৪৭ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৮৬৪। নেয়া হয় ১২০০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-কুষ্টিয়া, ভায়া-পাটুরিয়া, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ ২৩০ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৫৯৫।

নেয়া হয় ৭০০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-রংপুর, ভায়া-নবীনগর, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল, যমুনাসেতু, নলকা, বগুড়া ৩০৮ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৭৪১। নেয়া হয় ৯০০ টাকা। ঢাকা (গাবতলী)-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ভায়া-নবীনগর, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল, যমুনাসেতু, নলকা, শাহাজাদপুর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী ২৯৩ কিমি. আদায়যোগ্য ভাড়া ৭০৭। নেয়া হয় ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। ইতোমধ্যে ঈদ সামনে রেখে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বাসের কাউন্টারে টিকিট বিক্রয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
রাজধানীর গাবতলীতে বাসের টিকিট কিনতে আসেন তাজুল ইসলাম। তিনি যাবেন ঠাকুরগাঁও। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল, নকলা, দিনাজপুর হয়ে ৪২৪ কিলোমিটার দূরত্বের গন্তব্যের নির্ধারিত ভাড়া ১০০৮ টাকা। কিন্তু তার কাছে চাওয়া হচ্ছে ১২৫০ টাকা। দাম বেশি নেয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে কোন উত্তর দিতে পারেননি টিকিট বিক্রেতা। গন্তব্যে যেতে হলে তাকে এমন বাড়তি দাম দিয়েই টিকিট কিনতে হবে। এখন তিনি পড়েছেন বিপাকে। গাবতলীতে যাত্রীদের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন তিনি।
ঢাকা বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবারের ঈদে কোনো বাসের চালক, কাউন্টারের লোকজন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সায়েদাবাদ ও মহাখালীতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয় না বলে জানানো হয় ঢাকা বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে। এবার ঈদে বেশি ভাড়া নিতে পারবেন না কোনো বাসের কাউন্টারের লোকজন। শুধু গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে অগ্রিম বাসের টিকিট দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেছেন, সরকার নির্ধারিত হারের বেশি ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। সব কাউন্টারে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিতে বলা হয়েছে। মালিকদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গাড়ির শেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হবে। বাসমালিকেরা সারা বছরই নানা রকম ছাড় দিয়ে থাকেন। কিন্তু ঈদে পিক আওয়ার বলে দেন না। আর গাড়ি যাওয়ার সময় পুরো ভরে যায়, ঢাকা ফেরার সময় যাত্রী পাওয়া যায় না। এসি বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেই। মালিকরা নিজেদের মতো ভাড়া ঠিক করে নেন।
বাসভাড়া বেশি নেয়া বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, তারা বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, ঈদ উপলক্ষে কেউ বেশি ভাড়া নিতে পারবে না। কেউ বেশি ভাড়া নিলে যথযাথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর