বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার শুরু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িমারী স্থলবন্দরের পুলিশ অভিবাসন চৌকি (ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট) দিয়ে ভ্রমণসহ সকল ভিসাধারী যাত্রীদের আসা-যাওয়া শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর ভ্রমণ ভিসাধারীদের এ পুলিশ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) থেকে আবারো পাসপোর্টযাত্রীদের যাতায়াতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর এ স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ ভিসায় যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের অভিবাসন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সমীর শামাং বলেন, ২০২২ সালে যেসব ভিসা অনুমোদন পাবে এবং ওই ভিসায় চ্যাংরাবান্ধা পথ যাদের উল্লেখ থাকবে, তারা এ পথ ব্যবহার করে ভারতে যেতে পারবে। একই ভাবে ভারতীয় ভিসাধারীরাও এ পথে যাতায়াত করতে পারবে বলে তিনি জানান।

প্রথম দিন উভয় দেশের ৩৮ জন যাত্রী পারাপার হয়েছেন। এর মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ১১ জন ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছেন ২৭ জন। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) উভয় দেশের ৭৩ জন পাসপোর্টযাত্রী পারাপার হয়েছেন। ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ১৩ জন এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছেন ৬০ জন।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সরেজমিন বুড়িমারী স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, অভিবাসন চৌকি খুলে দেওয়ার খবরে স্বস্তি  ফিরেছে ভ্রমণ ও ভারতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের। কয়েকজন রোগী জানান, চেকপোস্ট বন্ধ থাকায় ভারতে চিকিৎসা নিতে পারছিলাম না। দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছি। চেকপোস্ট খুলে দেওয়ায় ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারব। স্থলবন্দর ব্যবসায়ীরা জানান, ভিসাধারীদের যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়ায় বন্দরটির প্রাণচঞ্চল্য ফিরেছে।

এসআই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাচৌকি (আইসিপি) দিয়ে ভারতীয় ভ্রমণ ভিসাধারীরা যাতায়াত করতে পারবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর