ওমিক্রন সতর্কতা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। এ সময়ে মৃত্যু বেড়েছে ৪২ শতাংশ। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনও ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজনের দেহে। ওমিক্রন এখন সারাবিশ্বে এক আতঙ্কের নাম। এর সংক্রমণ অত্যন্ত তীব্র। বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন ধরনের এ কারোনাভাইরাস। আবারও দেশে দেশে আরোপ করা হচ্ছে বিধিনিষেধ ও লকডাউন। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। জানা গেছে, বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন করে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যেমন, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। যানবাহন চলাচল করবে না। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না, অর্থাৎ এক ধরনের সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে সেখানে।

স্বস্তির বিষয়, আমাদের দেশে বেশ কিছুদিন বিরতির পর সংক্রমণ বাড়লেও করোনা পরিস্থিতির এখনো অবনতি হয়নি। এ অবস্থায় করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপরই সর্বাধিক জোর দেওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। বর্তমানে জনসাধারণের মধ্যে এ ব্যাপারে বড় ধরনের শৈথিল্য লক্ষ করা যাচ্ছে। রাস্তায়, এমনকি ভিড়ের মধ্যেও খুব কমসংখ্যক মানুষের মুখেই মাস্ক দেখা যায়। এ শিথিলতা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। মাস্ক পরা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, হাত স্যানিটাইজ করা ইত্যাদি কাজে মানুষকে বাধ্য করার চেয়েও বেশি জরুরি এসব ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। দ্বিতীয়ত, যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। আশার কথা, দেশে এখন পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। সরকারের টিকা কার্যক্রমও অব্যাহত আছে। শুরু হয়েছে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়াও। টিকা কার্যক্রমে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবেন, এটাই প্রত্যাশা। ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে সতর্কতা বাড়াতে হবে। যারাই বিদেশ থেকে আসবেন, তাদের করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

দেশে আবারও ‘লকডাউন’ বা সবকিছু বন্ধ করার ঘোষণা কারও কাম্য নয়। কারণ এতে শিক্ষা, কর্ম, আয়-রোজগারে যে স্থবিরতা নেমে আসে, তা সবার জন্যই ক্ষতিকর। তাই করোনা পরিস্থিতির যাতে আবারও অবনতি না হয়, সেজন্য সবাইকে স্বাস্থবিধি মেনে সতর্ক হয়ে চলতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর