সূচকের পতন দিয়েই সপ্তাহ শেষ করলো শেয়ারবাজারের লেনদেন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দরপতন পিছু ছাড়ছে না দেশের শেয়ারবাজারের। প্রায় প্রতিদিনই দরপতন হচ্ছে। এতে একটু একটু করে বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এতে চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে পতন হয়েছে সবকটি মূল্যসূচকের।

দিনের লেনদেন শেষে সূচকের বড় পতন হলেও শুরুর চিত্র ছিল ভিন্ন। লেনদেনের শুরুতে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে লেনদেনের ৮ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।

কিন্তু বেলা ১১টার পর থেকে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে সবকটি সূচকের পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭২ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৬৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩২ কোটি ৬০ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ওয়ান ব্যাংক, সোনালী পেপার, জিনেক্স ইনফোসিস, সাইফ পাওয়ার, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স এবং জিএসপি ফাইন্যান্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৭টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর