ঢাবির শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ভিপি নুরের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উৎসবের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ না নেওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসুর সর্বশেষ ভিপি নুর বলেন, শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ দলমত নির্বিশেষে ঢাবির দেশবরেণ্য কীর্তিমান সাবেক শিক্ষার্থীদেরকে একত্রিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে শতবর্ষের অনুষ্ঠানকে একটি সরকারদলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করেছে।তাই সর্বশেষ নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি (ভিপি) হিসেবে আমি ওই অনুষ্ঠান বর্জন করছি।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দলনিরপেক্ষ চরিত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ভিপি নুর বলেন, আগামীকাল ১ ডিসেম্বর (বুধবার) দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও গৌরবের সঙ্গে জড়িত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। বাংলাদেশ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে এ জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে পথ দেখিয়েছে।শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন- দেশের প্রতিটি পরতে পরতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গর্ব এই দেশের সব মানুষের।

ডাকসু না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অপূর্ণতা উল্লেখ করে সাবেক এই ভিপি বলেন, শিক্ষার্থীদের ঘিরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ (ডাকসু) নেই। যা শতবর্ষের অনুষ্ঠানে বড় অপূর্ণতা। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত না করে শতবর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ। অধিকন্তু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করতেও বর্তমান প্রশাসন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতাদেরকে নিমন্ত্রণ না করা মর্যাদাহানিকর উল্লেখ করে নুর বলেন, শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের বাইরে ঢাবির কীর্তিমান সাবেক শিক্ষার্থীদের নিমন্ত্রণ না করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংকীর্ণ ও দলকানা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৯০’এর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ডাকসু নেতাদেরকে নিমন্ত্রণ না করা ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবজ্ঞা ও অবহেলা ফুটে উঠেছে। যা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মর্যাদাহানিকর।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর