পুলিশের গাড়িতে হামলা করে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গুলিতে নিহত ২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নরসিংদীর রায়পুরায় পুলিশের গাড়িতে হামলা করে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। এসময় ৩ পুলিশ সদস্যসহ আরও ২২ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ও উত্তর বাঘারনগর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আরিফ (৩২) ও উত্তর বাখরনগরে ফরিদ মিয়া (৩২) । আরিফ শিবপুর যোশর জাঙ্গারটেক গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি সিএনজিচালক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের দাইরের পার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার পর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী আব্দুল ওহাবের পরাজিত হওয়ার পর তার ছেলে অর্ধশতাধিক লোক  দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালান। তখন পুলিশ সদস্য শাহিনুর ইসলাম সরকারি মালামাল ও ব্যালট বক্স রক্ষায় পরপর ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশের রিকুইজিশন করা সিএনজিচালক আরিফ নিহত হন।

পরে গ্রামবাসীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ সদস্য শহিনুর ইসলাম ও এক আনসার সদস্যসহ অতন্ত ১০ জন আহত হন।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, হট্টগোলের খবর পেয়েছি। আমার বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। তবে নিহতের বিষয়ে এখনও কিছু জানি না।
এদিকে উপজেলার উত্তর বাখরনগরে ইউপিতে নির্বাচনী সহিংসতায় ফরিদ মিয়া (৩২) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বাখরনগর ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে ভোট গণনা নিয়ে রোববার সন্ধ্যার দিকে দুই প্রার্থীর কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ফরিদ মিয়াকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নেওয়া হয়।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক খান জানান, ফরিদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্সচালক জহির মিয়া তাকে মুঠোফোনে ফরিদের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। তার লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর