প্রভাবশালীদের ছাড় দিয়েই নদীতে সীমানা পিলার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দখল বাঁচাতে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর ভেতরে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নদীর একপাশের দখলপোক্ত করতে অন্যপাশের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে।

বুড়িগঙ্গা নদী উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর বছিলা সরকারি প্রাথমিকবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শনিবার বুড়িগঙ্গা নদী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল বলেন, প্রভাবশালীদের দখল পোক্ত করতে অন্যপাশের ব্যক্তিগত জমিতে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এখন নদীর ভেতর পাইলিং করে ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাপার সহসভাপতি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে বুড়িগঙ্গা বাঁচানোর আন্দোলন শুরু হয়েছে। এরপর অনেক আন্দোলন হয়েছে। সরকারও উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীর অক্সিজেনের মাত্রা বেড়েছে। তবে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে সীমানা পিলারগুলো সঠিক জায়গায় বসানো হয়নি।

তিনি বলেন, প্রভাবশালীদের চাপে নদীর ভেতরে সীমানা পিলার বসানো হয়েছে। এখন ওই সীমানা পিলার ধরে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নদীর ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। যারা নদী রক্ষার কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের ভাবতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আগে নদীতে জাল ফেললে অনেক মাছ পাওয়া যেত। এ নদীতে মাছ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। নদী ও খালকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

নদী উৎসবে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাপার সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ান হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর