ঢাবি ও বুয়েটে প্রথম হওয়ার পর যা বললেন সিয়াম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন বগুড়ার মেধাবী শিক্ষার্থী মেফতাহুল আলম সিয়াম। উচ্চ মাধ্যমিকে সিয়াম বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। সিয়ামের পরিবার বগুড়া শহরের রহমাননগর এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা খোরশেদ আলম অবসরপ্রাপ্ত এনজিও কর্মকর্তা আর মা মুনজিলা আলম গৃহিণী।

চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়ও সিয়াম প্রথম স্থান অর্জন করেন। এছাড়া সম্প্রতি প্রকাশিত দেশের তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম আর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় ৫৯তম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

সাফল্যের বিষয়ে যা বললেন সিয়াম
ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের বিষয়ে মেফতাহুল গণমাধ্যমে বলেন, কেউ মেধাবী হয়ে জন্মায় না। সবার ভেতরেই মেধা সুপ্ত ও ঘুমন্ত থাকে। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিজের সুপ্ত মেধাকে জাগানোর জন্য সাধনা করতে হবে।

সুপার মেধাবী এই শিক্ষার্থী বলেন, স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সময়ের কাজ সময়েই করতে হবে। আর পাঠ্যবইয়ের বাইরেও পৃথিবীকে জানতে হবে। তাহলেই সাফল্য মিলবে।

বুয়েটে প্রথম হতে পেরে উচ্ছ্বসিত মেফতাহুল জানান, তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে পড়তে চান। এ বিষয়ে তার উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা করার পরিকল্পনা আছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিয়ামের শৈশব থেকে স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। তবে এক গৃহশিক্ষকের অনুপ্রেরণায় চিকিৎসকের বদলে একসময় প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকেই ভালো ফলাফল করতে শুরু করেন মেফতাউল। এসএসসি ও এইচএসসি- দুই পরীক্ষাতে সই জিপিএ-৫ পান তিনি।

সিয়াম জানান, এ সাফল্যের পেছনে মায়ের পরিশ্রম আর বাবার অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। তবে চিকিৎসক-প্রকৌশলী হতেই হবে- পরিবার থেকে এমন কোনো চাপ ছিল না। মা-বাবা পড়াশোনার ব্যাপারে সব সময় স্বাধীনতা দিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর