আজ থেকে প্রেক্ষাগৃহে ‘নোনা জলের কাব্য

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজ থেকে প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে বাংলাদেশ ও ফরাসি সরকারের অর্থায়নে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে স্টার সিনেপ্লেক্সের এসকেএস টাওয়ার শাখায় চলচ্চিত্রটির গালা প্রিমিয়ার আয়োজিত হয়। এর আগে বিকেলে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনের মিলনায়তনে সংবাদকর্মীদের জন্য চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী হয়। প্রদর্শনীর পর সংবাদকর্মীদের সঙ্গে চলচ্চিত্রটি নিয়ে কথা বলেন পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, অভিনেত্রী তাসনোভা তামান্নাসহ এর অন্য কলাকুশলী।

পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বলেন, ‘‘নোনা জলের কাব্য’ আমার সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এ ছবি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজে আরও পরিণত হয়ে উঠেছি। বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রটি যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে। বিশেষ করে কপ২৬ সম্মেলনেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্য ও প্রকৃতির ভয়াল রূপ একই সঙ্গে এ চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।’
 সম্প্রতি পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে চলচ্চিত্রটির তিনটি প্রদর্শনী হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট ছিল, যেহেতু ছবিটি জেলেদের জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত; তাই দেশে তারাই এটি প্রথম দেখবে। নিজেদের জীবনের গল্প পর্দায় দেখে তারা আমারই মতো আবেগাপ্লুত। প্রায় এক হাজার জেলে ও তাদের পরিবার এ প্রদর্শনী দেখেছেন। আশা করব, দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীরা আমার ছবিটি পছন্দ করবেন। তারা হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন। এ ছবির মাধ্যমে আমি শুধু জলবায়ু-যোদ্ধাদের জীবনেই পরিবর্তন আনতে চাই না, বরং ধর্মীয় সহিংসতা বন্ধেও ভূমিকা রাখতে চাই।
নোনা জলের সঙ্গে যে জীবন জড়িয়ে আছে, সেই জীবনের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’। সে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাজনীতি, সামাজিকতা, ধর্ম ও সংস্কৃতিও আছে চলচ্চিত্রটির গল্পে। ‘নোনা জলের কাব্য’র প্রধান পুরুষ চরিত্র রুদ্র একজন ভাস্কর। যিনি সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের একটি জনপদে গিয়ে থাকা শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে দেখতে ও বুঝতে থাকেন সেই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এলাকার চেয়ারম্যান, কিছু জেলে এবং সেই জেলেদের মধ্যে থাকা একটি পরিবারের মেয়ে টুনি। এসব চরিত্রের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে সেখানকার জীবনযাত্রা, ধর্মবিশ্বাস, সামাজিকতা এবং রাজনীতি।

‘নোনা জলের কাব্য’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া ও তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। এ ছবির টাইটেল স্পন্সর ফ্রেশ এবং পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর