আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নতুন ইস্যু খুঁজছে: কাদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন নতুন নতুন ইস্যু খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার সকালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাদের। সেতুমন্ত্রী তার ঢাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। দেশের উন্নয়ন-অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তাঁরা করছে মন্তব্য করে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ী হবার নিশ্চয়তা দিলেই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ, আর জয়ী হবার নিশ্চয়তা না দিলে নিরপেক্ষ নয়। ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, কে অংশ নিলো কি নিলো না তা দেখার কিছু নেই, কারণ নির্বাচন কারও জন্য বসে থাকবে না।’-বলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাদের।

আওয়ামী লীগের ‍সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মত বিএনপির এমন কোনো মুখ নেই। তাই তারা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে নতুন নতুন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি মাঠে নয়,তাদের রাজনীতি এখন মিডিয়ানির্ভর এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে দলের নেতাকর্মীরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন সে বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিএনপি ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ না নিলেও ঘোমটা পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল বলেন, তারা নির্বাচনে হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র করছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সম্মেলনে দলের মধ্যে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে জেলা কমিটি শোকজ ও প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে রাখার নির্দেশ দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সুসময়ে অনুপ্রবেশকারিরা দলে প্রবেশ করলে দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। ভাড়া করে খারাপ লোকদের দলে এনে দল ভারী করার কোনো দরকার নেই। ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে এবং নেপথ্যে মদদদাতাতের বিরুদ্ধেও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর