হোমসেফে বিয়ে, নতুন সংসার পেলেন শিরিনা-অন্তরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ যেন ডানা মেলে খোলা আকাশে উড়তে পারার আনন্দ। তাও এক দুই বছর নয়, ১১ বছর পর। নতুন জীবন, সংসার। সবকিছুই স্বপ্ন মনে হচ্ছিল ওদের কাছে। বুঝ হওয়ার পর যারা পাননি পরিবারের ভালোবাসা তারাই শুরু করলেন পরিবার। এ যেন সত্যি স্বপ্ন শিরিনা ও অন্তরার।

প্রায় এক যুগ আগে আদালতের আদেশে রাজশাহীর পবার সেফহোমে ঠাঁই হয়েছিল তাদের। সেখান থেকে নতুন জীবনের নতুন স্বপ্ন ধরা দিল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায়। এক পিঁড়িতে দুজনের বিয়ের মধ্য দিয়ে বাইরের মুক্ত দুনিয়ায় পা রাখল শিরিনা ও অন্তরা।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিবার থেকে হারিয়ে যান তারা। এরপর পথশিশুর পরিচয় থেকে গৃহকর্মী। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনহীন এই দুই নারী নির্যাতনের শিকার হয়ে রংপুর আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালে রাজশাহী পবা সেফ হোমে আশ্রয় পেয়েছিলেন। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ধুমধামে তাদের বিয়ের আয়োজন করে রাজশাহী সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন সেফহোম কর্তৃপক্ষ।

কনেদের জন্য উপহারের ডালি সাজিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তাসহ ৩৫০ জন অতিথির অনেকেই। দুই কন্যার বিদায়ে বিষাদের সুর বায়ার পুরো সেফহোমে। ৪৫ কেজি খাসির গোশত, ২০ কেজি মাছ, ২২ কেজি চালের পোলাউ, পাঁচ কেজি চালের সাদা ভাতে বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথিদের আপ্যায়ন।

অন্তরাকে বিয়ে করেছেন রাজশাহী নগরীর বড়বনগ্রাম দুরুলের মোড় এলাকার মো. বিপ্লব (৪২)। আর শিরিনকে বিয়ে করেছেন পবার পিল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন (৫০)। দুইজনেরই স্ত্রী মারা যাওয়ায় পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করেন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, জেলা পুলিশ সুপার এবি মাসুদ হোসেন, পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লসমী চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন ও রাজশাহী সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোসা. হাসিনা মমতাজ, সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দুই বরের পক্ষ থেকে বরযাত্রী এসেছিলেন আরও প্রায় ৪০ জন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর