আটকে পরা মালেক হাসপাতাল থেকে পালাল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোলায় গণধোলাইয়ের পর আটক চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মেন্দি (মেহেদী) মালেককে বুধবার দুপুরে পুলিশ আটক করলেও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে পালিয়ে গেছে।

ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, দুপুরে কাচিয়া এলাকার সামাদার ১নং ওয়ার্ড এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আবদুল মালেককে (মেন্দি মালেক হিসেবে পরিচিত) ৪-৫শ’ মানুষ ঘেরাও করে মারধর করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে জনতার তোপেরমুখ থেকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় আনে। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একপর্যায়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় মালেক।

এদিকে তাকে খুঁজে বের করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে বলে জানান ওসি এনায়েত।

এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব জানান, মেন্দি মালেক দীর্ঘ দিন ধরে ইজিবাইক, মালবাহী ট্রলি, ট্রাক্টর থেকে ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে আসছিল। তার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নদীর পাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ আসে। এর আগে তাকে এমন অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে সর্তক করা হয়। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এক ট্রলি থেকে চাঁদা দাবি করলে ট্রলির চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা মেন্দি মালেককে ঘিরে ফেলে। পুরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এদিকে মেন্দি মালেক পালিয়ে যাওয়ার খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। তার গ্রেপ্তার ও তার শাস্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয়রা। অন্যদিকে মালেকের পরিবার তাকে নির্দোষ দাবি করে।

তারা জানান, এক ট্রলি চালক অবৈধ বালু পরিবহন করছিল। এতে বাধা দেওয়ায় ট্রলি চালকের পক্ষে স্থানীয়রা তার ওপর হামলা করে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর