এক সপ্তাহে কোভিডে মৃত্যু ২৭ হাজার, চিন্তা বাড়়াচ্ছে ইউরোপ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শুরু থেকেই বিশ্বজুড়ে কোভিড টিকার সমবণ্টনের দাবি জানিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গরিব দেশগুলো যে টিকা পাচ্ছে না, সে অভিযাগও বারবার জানিয়েছে তারা। এ বারে সংস্থাটির-প্রধান টেড্রস অ্যাডানম ঘেব্রিয়েসাস বললেন, টিকা নিয়ে ‘স্ক্যান্ডাল’ চলছে।

ঘেব্রিয়েসাস বলেন, গরিব দেশগুলো যেখানে প্রথম ডোজটিও দিতে পারছে না বাসিন্দাদের, সেখানে ধনী রাষ্ট্রেরা বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে দিয়েছে। ক্রমেই বুস্টার ডোজ দেয়া বাড়ছে বিশ্বে। গরিব দেশে দৈনিক প্রথম ডোজ দেয়ার যে গতি, তার ছ’গুণ বেশি বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে ধনী দেশগুলোতে। তিনি বলেন, ‘সুস্থসবল প্রাপ্তবয়স্কদের, কিংবা বাচ্চাদের যে ভাবে বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে, তার কোনও অর্থ হয় না। দরিদ্র দেশগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীরা এখনও প্রথম ডোজ পাননি। বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা রোগীরা এখনও টিকা পাননি।’

ইউরোপের অধিকাংশ দেশে টিকাকরণ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে ৮০ শতাংশের বেশি টিকাকরণ সম্পূর্ণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ইউরোপে ২০ লাখ বাসিন্দা নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। মহামারি শুরুর পর থেকে এক সপ্তাহে এত সংক্রমণ ঘটেনি কখনও। সেই সঙ্গে উল্লেখ্য, ইউরোপে ২৭ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন এক সপ্তাহে। আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থাগুলির হিসেব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে গোটা বিশ্বে করোনায় যত মৃত্যু হয়েছে, তার অর্ধেকেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে এই মহাদেশে।

এর ফলে নতুন করে করোনা-বিধি জারি হয়েছে ইউরোপে। যারা এখনও টিকা নেননি, তাদের অবিলম্বে টিকা নিতে বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বুস্টার ডোজে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে জটিল রোগে আক্রান্ত ও প্রবীণ ও প্রবীণদের দ্রুত বুস্টার ডোজ দেওয়া চালু করছে দেশগুলি। কিন্তু এতে খুশি নয় ডব্লিউএইচও। তারা জানিয়েছে, টিকাকরণে সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে বাড়াবাড়ি হওয়া আটকে দিচ্ছে টিকা। কিন্তু সংক্রমিতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে টিকা-নির্ভরতার থেকে করোনা-বিধি মেনে চলা বেশি জরুরি।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর