বেকার ছেলেকে উপার্জন করে খেতে বলায় মাকে কুপিয়ে হত্যা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গা সদরে উপার্জন করে খেতে বলায় মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে। এ ঘটনায় জবেদা খাতুনের ছেলে মুকুল হোসেনকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের পিরোজখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জবেদা খাতুন (৪৫) ওই গ্রামের কাজীপাড়ার আহসান আলীর স্ত্রী।

পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মুকুল মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসাও করা হয় না বলে শুনেছি

তিনি আরও বলেন, তার তিন বিয়ে, সবার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে। কোনো স্ত্রীর এক সন্তানকে নিয়ে থাকত মুকুল। শনিবার বিকেলে খাবার খাওয়ার সময় মায়ের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে মুকুলের সন্তান স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়।

স্থানীয়রা এসে দেখে মায়ের মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে, আর মুকুল পাশের ঘরে চেয়ারে বসে আছে।

আতিয় জনদের বরাত দিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মুকুল হোসেনের বিয়ে হয়েছে। তিনি এক সন্তানের জনক। দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকায় সম্প্রতি তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।

ওসি মহসীন জানান, শনিবার বিকেলে মুকুল মায়ের কাছে ভাত চাইলে মা তাকে উপার্জন করার বিষয়ে কথা বলেন। তার মা বলেন, কাজ না করলে তাকে খেতে দেওয়া হবে না। এতে মুকুল ক্রুদ্ধ হয়ে বাড়িতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মায়ের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মা জবেদা খাতুন।

লাশের সুরতহাল শেষে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর