চিঠি লিখে ১৯১ দেশকে হারালো নুবায়শা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনাগত বোনকে নিয়ে লেখা একটি চিঠি। তাতে উঠে এসেছে করোনাকালে মৃত্যুভয়, স্বজন হারানোর আশঙ্কার কথা।

শনিবার (০৬ নভেম্বর) সিলেটে এক অনুষ্ঠানে নুবায়শার হাতে ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) স্বর্ণপদক হস্তান্তর করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। অংশ নেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনও।

বিরল কৃতিত্বের জন্য নুবায়শা, তার বাবা-মা এবং শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের গর্বের অনেক কিছু আছে। আন্তর্জাতিক পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় নুবায়শার অর্জন নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেবে। তিনি একটি সাম্য সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান। গুরুত্বারোপ করেন সামাজিক শৃঙ্খলা ও ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর। তিনি এ ধরনের কর্মসূচির জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং ডাক অধিদপ্তরের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

নুবায়শার কাছে ইউপিইউর স্বর্ণপদক হস্তান্তর একটি ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ ইউপিইউর সদস্যপদ অর্জন করে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নুবায়শা সেই ইউপিইউর ৫০তম পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করে জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, ১৯২টি দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতায় কেবল নুবায়শাই জিতেনি, জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শিশুরা যে সবকিছু পারে তা প্রমাণ করেছে নুবায়শা।

নুবায়শা ইসলামের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

এর আগে ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবসে ঢাকার ডাক ভবনে বাবা-মাসহ নুবায়শাকে তার কৃতিত্বের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন স্মারক হস্তান্তর করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেটের পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক এবং সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, ইউপিইউর ৫০তম পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় লাখো কিশোর-কিশোরীকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার জিতেছে নুবায়শা। প্রতিযোগিতায় লেখার বিষয় ছিল ‘কোভিড-১৯। ’ নুবায়শা তার অনাগত বোনকে নিয়ে চিঠিটি লিখেছিল।

নুবায়শার পরিবার সিলেট নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকায় বসবাস করে। তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামে।

গত ২৭ আগস্ট সুইজারল্যান্ডে ইউপিইউর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হয়। ফল প্রকাশের পর নুবায়শাকে নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরি করে সংস্থাটি, যা তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর