জলবায়ু নিয়ে ট্রাম্পের ভুল নীতির জন্য ক্ষমা চাইলেন বাইডেন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার জন্য ক্ষমা চাইলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি সোমবার গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে বলেন, আগের প্রশাসনের এই পদক্ষেপের জন্য আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি খুবই লজ্জিত। খবর সিএনএনের।

রোমে বিশ্বের প্রথম সারির ২০ দেশের ‘জি-২০’ অধিবেশন ছিল সপ্তাহান্তে। আর তার পরেই সোমবার গ্লাসগোয় শুরু হলো জলবায়ু সম্মেলন। এতে যোগ দিচ্ছেন ১২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রনেতা, শিক্ষাবিদ ও পরিবেশ আন্দোলনকারীরা।

সেই যুক্তিতে জলবায়ু নিয়ে যাবতীয় কর্থাবার্তা ‘কপ২৬’-এর ওপরেই ছেড়ে দিল জি-২০। ভাসা ভাসা কিছু আলোচনা হলো বটে। তবে বিশ্বে বিপজ্জনক মাত্রায় কার্বন নির্গমনের ৮০ শতাংশ দায়ভার যাদের, জলবায়ু সমস্যা সমাধানের সব দায়িত্ব তারা ভাগ করে নেওয়ার কথা জানাল ছোট-বড় সব দেশের সঙ্গে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য— জি-২০ সম্মলনে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা কথা দেওয়া-নেওয়া হলো, তাতে নতুন কিছু নেই। এই গোষ্ঠীর সদস্য সব দেশই জানিয়েছে, আসন্ন বিপর্যয় রুখতে তারা গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখার চেষ্টা করবে। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতেও অবশ্য এ কথা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রনেতারা। যদিও বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটেনি।

‘জি-২০’-তে রয়েছে ব্রাজিল, চীন, ভারত, জার্মানি ও আমেরিকার মতো দেশ। বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বাস এই ২০ দেশে। ‘বিষাক্ত’ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ৮০ শতাংশ এই দেশগুলোর।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে গোটা বিশ্বকে। ইতোমধ্যে তা টের পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে খরা তো অন্যদিকে বন্যা। ইউরোপে দাবানল তো কানাডা পুড়ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমে। এ বছরের মতো বৃষ্টি, বন্যা ও ধস দেখেনি ভারত।

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা, পানির স্তর যেভাবে বাড়ছে, সবার আগে নিচু দেশগুলো সমুদ্রে ডুবে যাবে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই শতকের মাঝামাঝির মধ্যে কার্বন নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধানরা।

চীন সর্ববৃহৎ কার্বন নির্গমনকারী দেশ। তারা ২০৬০ সালের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ভারত ও রাশিয়ার লক্ষ্য ২০৫০ সাল।

শুরুতেই সিওপি২৬-এর তাল কেটেছে চীন ও রাশিয়া যোগ না দেওয়ায়। গ্লাসগোর সম্মেলনে উপস্থিত হবেন ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস, ৯৫ বছর বয়সি প্রবীণ ব্রিটিশ সাংবাদিক স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো, সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থানবার্গ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর