নেত্রকোনায় নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে আদিবাসীদের বসতভিটা

বিজয় দাসঃ নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদী থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের ফলে নদীভাঙ্গনে হুমকির মুখে আদিবাসীদের বসতভিটা ও জীবন-জীবিকা।একদিকে নদী ভাঙ্গন অন্যদিকে জীবিকা হারিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিলছে তেমন কোন সারা। বন্ধ হচ্ছে না বালু ও পাথর উত্তোলন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তে ভারত থেকে থেকে নেমে আসা পাহাড়ী নদী মহাদেও । আর সীমান্ত ঘেষেই অবস্থান রংছাতী ইউনিয়নের পাতলাবন ও সন্নাসী পাড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করেছে মহাদেও নদী। স্থানীয় আদিবাসীরা যুগযুগ ধরে বংশপরমপরায় পরম যত্নে এই নদীটিকে বাচিয়ে রেখেছেন তারা। এক সময় নদী এলাকায় বৈচিত্র পাথরে সমাহার স্বচ্ছ পানি ও নির্মল পরিবেশ ছিলো। এই মহাদেও নদীর ধারায় দুই তীর ঘেষা স্থানীয় আদিবাসীরা মাছ ধরে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করে চালাতো তাদের জীবন জীবিকা ।

বর্তমানে একটি মহল তাদের প্রভাব খাটিয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গভীর গর্ত করে উঠিয়ে নিচ্ছে বালু ও পাথর। ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীর দু’কুল। ফলে নদীর উভয় তীতে বসবাসরত শতশত আদিবাসী পরিবারের বসতভিটা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি ও গাছপালা নষ্ট হয়েছে ফসলি জমি।বালি ও পলিমাটি পড়ে একরের পর একর ফসলি জমি পতিত জমিতে পরিনত হয়েছে ।

জানাগেছে,নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের দরপত্র অনুযায়ী ৩ মার্চ ২১খ্রী: অনুযায়ী ইজারাকৃত স্থান উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ওমরগাও.হাসান নোয়াগাও এবং বিশাউতি মৌজায় ৩৫.১৫ একর। নির্ধারিত মৌজায় বালু পাথর উত্তোলন না করে মহাদেও নদীর সন্ন্যাসী পাড়া ও চীকনটুপ মৌজা হতে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে ।
অবৈধভাবে বালি ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি বলে জানাছ্নে স্থানীয় নেতা র্লোরল নংমিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হাদিউল।

সোলেমার এ প্রতিনিধির সাথে বলেন,অবৈধভাবে বালি ও পাথর উত্তোলনের কারনে এই পরিস্থিতে বালু পাথর বহন কারী ভারীযান চলাচলের কারনে বিভিন্ন এরাকার সাথে সংযুত একমাত্র রাস্তাটি স্থানীয় এলাবাসীর চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে । বালু ও পাথর যদি ক্রমাগত উত্তোলন চলতে থাকে তাহলে তিনটি মৌজার ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের শত শত ঘর বাড়ি ফসলি জমি গাছপালা বরুয়াকোনা ক্যাথলিক ধর্মপল্লী অধীনে পাতলাবান গ্রামের গীর্জাঘর ও বরুয়াকোনা বাজার সহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার চরম ঝুকির মধ্যে রয়েছে ।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর