চায়না কৌশল কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে এবং দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়ার যে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে তা পূরণে সরকারকে চীনের কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার “দারিদ্র্য বিমোচন: বাংলাদেশ ও চীনের অভিজ্ঞতা” শীর্ষক চায়না বাংলাদেশিদের সংগঠন আ্যাবাকা আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা এমন পরামর্শ দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন অত্যন্ত জনবহুল দুটি দেশ। তাই দুই দেশের জন্যই দারিদ্র্য বিমোচন অত্যন্ত জরুরি এবং বেশ কঠিন।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান গভীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, সাধারণত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৬তম বার্ষিকী নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো বহুদিনের পুরনো। দুই দেশের  সম্পর্কের গোড়া অন্তত আরো দুই হাজার বছরের পুরনো।

বাংলাদেশকে দরিদ্রমুক্ত করতে এবং দেশে আরও ব্যাপক সংখ্যক সময়োপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার বিস্তারের ওপর জোর দেওয়ার জন্য ওয়েবিনারে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে দরিদ্রমুক্ত করতে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের এ অগ্রগতিতে বন্ধুপ্রতীম দেশ চীনেরও অনেক আন্তরিক সহযোগিতা ছিল বলে উল্লেখ করেন।

সেই পঞ্চাশের দশক থেকেই চীন যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তার নানা দিক উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, চীন সেই সময় থেকেই ভূমি মালিকদের কাছ থেকে জমি কৃষকদের মাঝে বণ্টন করে ব্যাপক কৃষি বিপ্লব ঘটান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর