৪৫ ফুট লম্বা বরফ আগ্নেয়গিরির সন্ধান মিললো কাজাখস্তানে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমরা অনেক রকম আগ্নেয়গিরি দেখেছি। তবে বরফের আগ্নেয়গিরি এবারই বোধ হয় প্রথম দেখা গেলো। প্রকৃতির অপার বিস্ময় এই বরফ আগ্নেয়গিরি বা ‘আইস ভলক্যানো’। সাধারণত আগ্নেয়গিরি হলে লাভা ও ছাই উৎপন্ন হয়। তবে এখানে নেই কোনো লাভাস্রোত, নেই কোনো ছাই। বরং এই আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসছে দ্রুতগতির পানি এবং তুষার। বরফ আগ্নেয়গিরি বা `আইস ভলক্যানো`

এই বরফের আগ্নেয়গিরিটি কাজাখস্তানের আলমাতি এলাকায় অবস্থিত। যার উচ্চতা ৪৫ ফুট। এই এলাকাটি শীতকালে পুরো বরফের চাদরে ঢাকা থাকে। মাটির নিচ থেকে জেগে ওঠা একটি ছোট ঝর্ণার উপর পাহাড়ের মতোই দাঁড়িয়ে রযেছে এই বিশাল আগ্নেয়গিরিটি। সারাক্ষণ এর ফাঁকা মুখ দিয়ে যেন ধোঁয়া বের হচ্ছে। আসলে সেটি ধোঁয়া নয়। সেটি হলো পানি, যা হিম বাতাসের স্পর্শে এসে পলকেই কণা কণা বরফে পরিণত হচ্ছে। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে একেবারে ধোঁয়া। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে একেবারে ধোঁয়া

কৌতূহলী পর্যটকরা সেখানে এই আগ্নেয়গিরি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। যদিও এরকম আগ্নেয়গিরি কাজাখস্তানে প্রথমবার দেখা যায়নি। এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিশিগানের সৌগাটাকের ওভাল সমুদ্রে ছোট একটি বরফ আগ্নেয়গিরি দেখা গিয়েছিল। তবে এবারেরটা আকারে অনেকটা বড়।  এই আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসছে দ্রুতগতির পানি এবং তুষার

এমনকি ২০১৬ সালে গবেষকরা বামনগ্রহ প্লুটোতে একই ধরনের আইস ভলক্যানো শনাক্ত করেন। যার উচ্চতা প্রায় ২.১৫ মাইল এবং বিস্তৃত ৯০ মাইল। তবে হাওয়ার গতিবেগের সঙ্গে সমুদ্রস্রোতের গতিবেগ মোটামুটি ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত না হলে সচরাচর এমন বিরল প্রাকৃতিক ঘটনা দেখা যায় না। আইসল্যান্ডেও এমন ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে। কৌতূহলী পর্যটকরা সেখানে এই আগ্নেয়গিরি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে

মূলত তুষারাবৃত অঞ্চলে দ্রুত বায়ুপ্রবাহের জন্যই মাঝে মাঝে ফাটল ধরে বরফের চাদরে। আর তার সঙ্গে দ্রুত গতিতে সমুদ্রস্রোতে বরফের তলার পানি ছিটকে বেরিয়ে আসে বাইরে। তবে সেই পানি বাইরে বেরিয়ে এলেও বেশিক্ষণ তা তরল অবস্থায় থাকে না। হিমশীতল পরিবেশের কারণে তা ভূমিস্পর্শের আগেই পরিণত হয়ে যায় তুষারে। এভাবেই তৈরি হয় কয়েক মিটার পর্যন্ত উচ্চতার বরফের আগ্নেয়গিরি।

মাটির নিচ থেকে জেগে ওঠা একটি ছোট ঝর্ণার উপর পাহাড়ের মতোই দাঁড়িয়ে রযেছে এই আগ্নেয়গিরিটি

বিশেষজ্ঞদের মতে, বরফ আগ্নেয়গিরির কাছে যাওয়া বেশ বিপজ্জনক বটে। এগুলো যে কোনো সময় উপচে অনেক দূর পর্যন্ত উঠতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি কারো গায়ে পড়লে স্থানটিতে ফোস্কা পড়ে যেতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর