বৈশাখী-শোভনের একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ কী?

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সাবেক অধ্যাপক বৈশাখী যে একে অপরের গভীর প্রেমে এবং যৌথ যাপনে আছেন, তা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহের অবকাশ ছিল না। বৈশাখী নিজেই বলেছেন, নয়-নয় করে দীর্ঘ ১৩ বছরের সম্পর্ক তাদের (অর্থাৎ, তখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি সুবাদে ঘনিষ্ঠদের কাছে শোভনের ‘কানন’ ডাকনামের চলন)।

পাশাপাশি বলেছেন, তারা স্বাভাবিক প্রেমিক-প্রেমিকার মতোই আচরণ করেন। তারা যা কিছু করেন, তার সবকিছুর মধ্যেই রোমান্স আছে। রোমান্স ছাড়া শোভনকে তিনি কল্পনা করতে পারেন না। তারা সম্পর্কটাকে লালন করেন। এই লিভ টুগেদারকে বৈশাখী বললেন ‘টুগেদারনেস’। আমরা দু’জনে বেস্ট ফ্রেন্ড। আমাদের আসলে বিচ্ছেদ হওয়ার নয়।’

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে দুজনই একসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত আসনে দাঁড়াতে না দেওয়ায় শোভন অভিমান করে বিজেপি ছেড়েছেন। এরপর বৈশাখীও এখন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

বাঙালি আরও জানল, বৈশাখী শোভনকে প্রায় সবসময় রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে শোনান। কিন্তু রবীন্দ্র সংগীত গাইতে গিয়ে ভুল করেন। তা নিয়ে কটাক্ষও শোনেছেন নেটিজেনদের কাছ থেকে।

শোভনের যেসব বিষয় পছন্দ-অপছন্দ বৈশাখীর

বৈশাখী জানালেন, শোভনের ধূমপান তাঁর অপছন্দ। পছন্দ শোভনের সারল্য। আর পছন্দ শোভনের সেই অমোঘ বাক্য, ‘‘আমি যাকে বুক দেখাই, তাকে কখনও পিঠ দেখাই না।’’ অর্থাৎ, এক বার হৃদয়ের আগল খুলে দিলে কখনও পিছু ফিরে পিঠটান দিই না।

বৈশাখীর যেসব বিষয় পছন্দ-অপছন্দ শোভনের

কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন জানিয়েছেন, তার অপছন্দ বৈশাখীর মোবাইল নিয়ে নিরন্তর ঘাঁটাঘাঁটি। আর পছন্দ ‘ডিগনিটি, সিনসিয়ারিটি’। সত্যি কথাগুলো সরাসরি এবং সহজ ভাবে বলতে পারার ক্ষমতা। সে উল্টো দিকের লোকটার ভাল লাগুক বা খারাপ।

শোভনের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। বৈশাখীও সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দু’জন বিবাহবিচ্ছিন্নতাকামী নরনারী স্বেচ্ছায় একসঙ্গে বসবাস করলে ভারতীয় আইনে এর কোনও বাধা নেই। কিন্তু একের পর এক যুগল ভিডিও বাঙালির সামনে তাদের যৌথ জীবনের দরজা হাট করে খুলে দিয়েছে। আর আপামর বাঙালি জুলজুল করে তাকিয়ে দেখেছে। দেখেছে। গিলেছে। আর জেনেছে।

বৈশাখীর শখ

বৈশাখীর শখ হল গণেশের মূর্তি কেনা। সে মেলার মাঠ থেকে পাঁচ টাকার মাটির মূর্তি হোক বা মহার্ঘ ধাতুর কোনও গণেশমূর্তি। বৈশাখীর কাছ থেকে তারা জেনেছে, বৈশাখী কার জন্য পুজোর প্রথম উপহারটি কেনেন বা পুজোর সময় কী করেন। জেনেছে, তাঁর জন্য কিনে-আসা গাদা গাদা শার্ট দেখে শোভন কপট রাগ দেখান। কিন্তু বাইরে বেরনোর আগে বৈশাখীকেই তার মধ্যে থেকে একটা শার্ট বেছে দিতে হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, কোনও নিষিদ্ধ বস্তুকে টেবিলে ফেলে-ছড়িয়ে রাখলে তার সম্পর্কে মানুষের উৎসাহ আপনা থেকেই কমে যায়। মনে হয়, এ তো খুবই মামুলি। এটা নিয়ে আর কী-ই বা আলোচনা করব। কী-ই বা গসিপ করব। শোভন-বৈশাখী প্রবল বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেটাই করেছেন। তাঁদের নিয়ে যাবতীয় গসিপ, যাবতীয় কৌতূহলের মুখে নুড়ো জ্বেলে সকলের সামনে দ্যাখ-দ্যাখ করে প্রেম করছেন। আয়, কত দেখবি! কত বলবি! কত জ্বলবি! কত ফুলবি!

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর