চাকরির লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘাটাইলের মুরাইদ মাদরাসার এক ছাত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামবাসী দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৬ অক্টোবর) গভীর রাতে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ঘাটাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষণের অভিযোগে আটক হওয়া দুজন হলেন- ঘাটাইল উপজেলার মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে মো. মোস্তফা (২৫) ও মফিজ উদ্দিন মোড়লের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (৩৫)। তারা দুজনেই বিবাহিত এবং সম্পর্কে মামা ভাগ্নে। মামলার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীটির বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের সাপমাড়া গ্রামে। সে স্থানীয় মুরাইদ সিরাজনগর দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েটি পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতে গাজীপুরে তার এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় যায়।

গাজীপুর থাকা অবস্থায় তার পূর্ব পরিচিত মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে মোস্তফা ওই ছাত্রীকে চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেয়।

গত ৬ই অক্টোবর দুপুরে চাকরির ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য মোস্তাফা তাকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। মেয়েটি তার কথা মতো চন্দ্রা গেলে রাত ৮টার দিকে সেখান থেকে তাকে মোস্তফা নিজ গ্রাম মুরাইদে নিয়ে আসেন এবং মোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামে এক লোকের বাড়িতে নিয়ে যান। মোস্তফা তাকে জানায়, মোফাজ্জলের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাকে চাকরি দেওয়া হবে। এ কারণে মেয়েটি মোফাজ্জলের বাড়িতে যেতে এবং রাতে থাকতে রাজি হন। সে মতে ওই বাড়ির একটি টিনের ঘরে ছাত্রীটির থাকার ব্যবস্থা করা হয়। পরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গভীর রাতে মোস্তফা ও মোফাজ্জল (মামা- ভাগ্নে) মিলে জোরপূর্বক ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েলে ডাক চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাড়ির আশেপাশের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত দুই ধর্ষক মোস্তফা ও মোফাজ্জলকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাতেই উপজেলার সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং স্থানীয় জনতার হাতে আটক হওয়া দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরের দিন ৭ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধৃত দুজনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধৃত দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর