হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরো সহজ কাযর্কম করতে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে সক্ষম ও শক্তিশালী করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আয়োজিত জাতীয় জন্ম মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এবছর জাতীয় জন্ম মৃত্যু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন।’
মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে যেকোনো সরকারি সুবিধা নেয়া এবং দেয়া সহজ হয়। যত দ্রুত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে ততো বেশি আমরা আপডেট থাকব। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে সক্ষম করার অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইন এবং বিধিমালায় যদি কোথাও সমস্যা থাকে সেগুলোরও সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, অনেক সময় অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়ে থাকে। আইডি কার্ড দেয়া এবং ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এটা যাতে না করতে পারে সেজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু এবং করোনা এই দু’টি সমস্যা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের। বিশ্ববাসী এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বিভিন্ন দেশের করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা এবং সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একদিনে যে বিপুল সংখ্যক টিকা প্রদান করা হয়েছে তা বিশ্বে বিরল।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন বিনামূল্যে করে দেয়া যায় কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখবে সরকার। তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে জাতীয় কমিটি রয়েছে সেখানে এই বিষয়টি উত্থাপন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি Veera Mendonca বিশেষ অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রেজিস্টার জেনারেল মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।