পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক আটক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শেরপুরের শ্রীবরদীর জালকাটা এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু (১৩) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা শহিদ শেখ (৩৫) বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জালকাটা এলাকার ইয়াছিন ওরফে নতুগুনের ছেলে শুভ মিয়াকে (১৮)। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও মা জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় থাকেন। আর তাদের ১৩ বছরের শিশু মেয়েকে পড়াশোনা করার দায়িত্ব দেন শিশুর নানিকে। ওই শিশু কেজি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যাতায়াতের সময় বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে কুপ্রস্তাব দেয় জালকাটা এলাকায় বাসিন্দা ইয়াছিন নতুগুনের ছেলে শুভ। এতে ওই শিক্ষার্থী রাজি না হয়ে নানিকে সব খুলে বলে। পরে নানি শুভকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দেন।

এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই শিশু বসতঘর থেকে পানি নেওয়ার জন্য টিউবওয়েলে যায়। এ সময় বাড়ির পাশে কলাবাগানে ওতপেতে থাকা শুভ পেছন থেকে ওই শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে পাশেই বাঁশঝাড়ের নিচে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও ভিডিও করে রাখে। পরে তার ডাক-চিৎকারে নানিসহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে শুভ পালিয়ে যায়।

পরদিন শুভ সেই অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে শিশুর পরিবার বিচারের আশায় স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসেলকে জানায়। পরে ওই কাউন্সিলর সালিশ বৈঠক বসান।

সালিশ বৈঠকে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের অশ্লীল রেকর্ডগুলো ডিলিট করে দেওয়া হয়। কিন্তু ধর্ষণের কথা উঠলে তিনি তা এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে শিশুর পরিবার বাধ্য হয়ে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় জালকাটা এলাকার ইয়াছিন নতুগুনের ছেলে শুভ মিয়াকে। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।

শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই শিশুর বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে ওই শিশুকে জবানবন্দি ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর