হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের নেতারাসহ দেশের অন্যতম প্রধান দুই বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা এ মুহূর্তে অসুস্থ ভুগছেন । একদিকে বয়সের ভার সহ যুক্ত হয়েছে নানা শারীরিক জটিলতা। অসুস্থ নেতাদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর ও জটিল। কেউ বার্ধক্যজনিত সমস্যাসহ দীর্ঘমেয়াদি জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থদের মধ্যে সংকটাপন্ন অবস্থায় কেউ আছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। আবার কাউকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে দেশের বাইরে। অসুস্থ নেতাদের নিয়ে পরিবারের পাশাপাশি দলেও রয়েছে উদ্বেগ।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এ মুহূর্তে ভারতে দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে তিনি আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। তবে পুরোপুরি সেরে উঠতে একটু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। দেশে ফিরতে আরও সপ্তাহখানেক লাগবে বলে জানিয়েছেন তোফায়েল আহমেদের জামাতা ডা. তৌহিদুজ্জামান।
করোনায় আক্রান্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর চিকিৎসা চলছে শ্যামলীর একটি হাসপাতালে। অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় গতকাল তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। আগের চেয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, তাঁর অবস্থা ভালো না। গত ১৭ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির এই নেতা।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ দলের বেশ কয়েক শীর্ষ নেতা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁর উপস্থিতিও নেই। সবশেষ ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত করোনায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি বাসায় আছেন। আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন।