অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই জবিতে পরিক্ষা নেওয়া যাবে

মোস্তাকিম ফারুকীঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার নীতিমালা পাশ হয়েছে। এখন থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবেন যেকোন বিভাগ বা ইনিস্টিটিউট। তবে পরীক্ষা হবে কোর্সের ৫০ শর্তাংশ নম্বরের এবং সময়ও কমে করা হয়েছে অর্ধেক। তবে খাতা মূল্যায়নের সময় সেগুলোকে পূর্ণাঙ্গ করে ফলাফর প্রকাশ করা হবে।  মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বলে জানিয়েছেন একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য।
একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী সোমবার সিন্ডিকেটে তা পাশ হবে। আমরা অফলাইন, অনলাইন দুইভাবেই পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। অক্টোবরের মাঝামাঝি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার একটি আভাস দিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে আমরা অফলাইনেই পরীক্ষা নেবো। অফলাইনে নেওয়া না গেলে আমরা নীতিমালা চূড়ান্ত করছি সেই অনুসারে অনলাইনে হবে এবং যেভাবেই পরীক্ষা হোক তার চার সপ্তাহ আগে শিক্ষার্থীদের জানানো হবে। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাব্য তারিখ বা পরীক্ষার সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তা সেটা এখনই বলতে পারছিনা। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আব্দুল কাদের বলেন, গুগল ক্লাসরুম বা জুম মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া যাবে। এখন থেকে যেকোন বিভাগ অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবেন তবে তা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে জানাতে হবে।
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস বলেন, আমাদের মিটিং করার সময় ইন্টারনেট চলে যায়, বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন আমরাও ডিসকানেক্ট হয়ে যাই। পরীক্ষার সময় যদি কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার সময় ডিসকানেক্টেড হয়ে যায়, তবে পাঁচ মিনিটের ভিতরে দায়িত্বরত শিক্ষককে জানাতে হবে। তখন তাদেরকে আমরা আবার পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করবো। এ বিষয়টি অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ভিসি অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালাটি একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন পেয়েছে। এরপর এটি আগামী সোমবার সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন দেয়া হবে। অনলাইনে পরীক্ষা ৫০ শতাংশ নম্বরের পরীক্ষা হবে, পরবর্তীতে তা কনভার্ট করে দেয়া হবে। আমাদের ছাত্ররাও এতোটা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না। এজন্য সময় কম করে সেইভাবে পরীক্ষা নেয়া হবে। আমরা সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত দেখে পরীক্ষা পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নিবো। সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা খুলতে পারবো না। নীতিমালা সিন্ডিকেটে পাশ হলে আমরা দেখবো সরাসরি নেয়া যায় কি না। সরাসরি নেয়া গেলে আমরা সরাসরিই পরীক্ষা নিবো। আর বিশ্ববিদ্যালয় না খোলা গেলে অনলাইনে পরীক্ষা নিবো। তা অবশ্যই চার সপ্তাহ আগে নোটিশ দিয়ে।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর