আওয়ামী লীগের আয় কমেছে, ব্যয় বেড়েছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয় কমেছে। তবে বেড়েছে ব্যয়। গত ২০১৯ পঞ্জিকা বছরে তুলনায় ২০২০ সালে আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। আর ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। তবে আয়ের তুলনায় দলটির ব্যয় বেশি না হওয়ায় বর্তমানে ঘাটতিতে নেই আওয়ামী লীগ।

বর্তমানে দলটির তহবিলে রয়েছে প্রায় ৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর দলটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

 

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে প্রতি বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। আইন অনুযায়ী, ২০২০ সালের হিসাব ২০২১ সালে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়। করোনার কারণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ইসি। এ পর্যন্ত বিএনপিসহ পাঁচটির মতো দল হিসাব জমা দিয়েছে।

হিসাব জমা শেষে ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ২০২০ পঞ্জিকা বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোট আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা। ২০১৯ পঞ্জিকা বছরের আয়ের তুলনায় ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা কম। ২০১৯ পঞ্জিকা বছরের তুলনায় আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। আয় কমে যাওয়ার কারণ হলো—২০২০ পঞ্জিকা বছরে মনোনয়ন ফরম বিক্রয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ পূর্বের বছরের তুলনায় কম হয়েছে এবং ২০১৯-এ আয়ের অন্যতম একটি খাত ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিকী কাউন্সিল বাবদ প্রাপ্ত অর্থ। আয়ের প্রধান খাতসমূহ বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের দেওয়া চাঁদা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত অনুদান প্রভৃতি।

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নেই: প্রধানমন্ত্রীএদিকে ২০২০ পঞ্জিকা বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোট ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা। পঞ্জিকা বছর ২০১৯ এর তুলনায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ টাকা। পঞ্জিকা বছর ২০১৯ এর তুলনায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২১ শতাংশ।

২০২০ পঞ্জিকা বছরে করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা, বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় প্রার্থীদের প্রতি প্রদত্ত অনুদান, পত্রিকা-প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট খরচ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পূর্বের বছরের তুলনায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যয়ের প্রধান খাতগুলো হলো :অফিস রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয়, সংগঠন পরিচালনা ব্যয় ও ত্রাণ সামগ্রীবিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা ব্যয়।

২০১৯ সালের তুলনায় আয় কম এবং ব্যয় বেশি থাকলেও চলতি বছর (২০২০ পঞ্জিকা) বছরের ব্যয় আয়ের চেয়ে কম ছিল। ২০২০ পঞ্জিকা বছর শেষে স্থিতি ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬০১ টাকা। তার আগে পঞ্জিকা বছর ২০১৯ পর্যন্ত সর্বমোট স্থিতি ছিল ৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯৩ টাকা। পঞ্জিকা বছর ২০২০-এ স্থিতি প্রায় ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সর্বমোট স্থিতি হয়েছে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর