জরুলের লেখনী ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে – মোস্তাফা জব্বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল
ইসলামকে যেভাবে অনুশীলন করা দরকার, যেরূপ গবেষণা করা দরকার তা আমরা করছি না।
নজরুলের রেখে যাওয়া সম্পদ সারা দুনিয়ার সম্পদে পরিণত করা আমাদের দায়িত্ব। নজরুলের
সমগ্র লেখনী ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে আমাদের উদ্যোগ
নিতে হবে।
মন্ত্রী গতকাল রাতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী
উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক নজরুল চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা নজরুলকে রাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে সম্মান দিতেন
উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূলভিত্তি রচনাকারি
হিসেবে বিবেচনা না করলে জাতীয় কবির মর্যাদা দিতেন না। কার কোন সম্পদকে জাতিরাষ্ট্র
গঠনে ব্যবহার করতে হবে বঙ্গবন্ধু তা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলা সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে নজরুল অধ্যয়ন করে উপলব্ধি
করতে পেরেছি নজরুলের সমাজ ভাবনা বাহাত্তর সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু লিপিববদ্ধ করে
গেছেন। নজরুল এবং বঙ্গবন্ধু সাম্যের কথা বলেছেন তারা মানুষ, বাঙালি এবং মুসলমান,
তাঁরা উভয়েই অসম্প্রদায়িক। এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতুর্য নিয়ে প্রেমের
কবি আর দ্রোহের কবি হিসেবে নজরুল যুগযুগ বেঁচে থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে বলে মন্ত্রী
উল্লেখ করেন।
আন্তর্জাতিক নজরুল চর্চা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা থেকে বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ড.
মোজাহিদ রহমান, কলকাতা থেকে নজরুল শিল্পি মাধবী মজুমদার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল
ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ
মাসুদ আহমেদ এবং সংগঠনের মহাসচিব রাশেদুল হাসান শেলী বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক এএফএম হায়াতুল্লাহ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর