চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভোগান্তি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আষাঢ়ের টানা বর্ষণ ও পদ্মা নদীর উজানে ফারাক্কা বাঁধের প্রায় ৯৫টি গেট (দরজা) খুলে দেওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সকল নদ-নদীর পানি বেড়ে জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন বিষয়টি তথ্য নিশ্চিত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাজাহানপুর, নায়ারয়নপুর,আলাতুলি,চড়বাগডাংগা আর শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর,পাকা ও উজিরপুর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও চড়বাগডাংগা।এছাড়া শিবগঞ্জের দূর্লভপুর আর পাকা ইউনিয়নও প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে এসব এলাকার সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পরেছেন। এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার পানি ও গো-খাদ‌্যের সংকট। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে এখানকার মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই।

জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৪৫৩ হেক্টর জমির ধান ও শাকসবজি বন্যায় ডুবে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আউশধান ৩৯৫ হেক্টর,শাক সবজি ৩৩ হেক্টর,রোপা আমন ৭ হেক্টর,অন্যান্য ফসল ১৮ হেক্টর। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৮৪৯ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ময়েজ উদ্দিন জানান, ফারাক্কা বাঁধের প্রায় ৯৫টি গেট খুলে দেওয়ায় জেলার নদীগুলোতে ক্রমশই পানি বাড়ছে। এছাড়াও জেলার যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ওই সব এলাকায় আষাঢ়ের বর্ষণ হওয়ায় আরও পানি আরও বেড়েছে। পদ্মায় যদি আর পানি না বাড়ে তাহলে বর্তমানে নদীতে যে পানি আছে তা শুকাতে অন্তত সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল শরীফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়েছে ১২ সেন্টিমিটার ও মহানন্দায় ১০ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পদ্মায় ২২ দশমিক ১৮ মিটার ও মহানন্দায় ২০ দশমিক ৫৫ মিটার পানি আছে। পদ্মা নদীতে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ২২ দশমিক ৫০ মিটার। পদ্মা তার বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর