সাড়ে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি এক ছাগল : নাম ‘তৈমুর’

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত সরকার সে দেশে অনেক রাজ্যে গরু কোরবানী হারাম করেছে তাই নিরুপায় হয়ে মুসলিমরা ছাগল কিংবা অন্য পশু কোরবানী দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই অন্য পশুর দামও বেশ ছড়া।

এদিকে গুজরাতে একটি ছাগল বিক্রি হলো বাংলাদেশী মুদ্রায় ১২ লাখ ৪৬ হাজার টাকায়। মঙ্গলবার কোরবানির ঈদ। তার আগে কোরবানির জন্য একটি ছাগলের দাম উঠল ১১ লক্ষ রুপি!

ওই ছাগলটি কিনেছেন ভারতের গুজরাত রাজ্য সুরতের এক ব্যবসায়ী। বিক্রেতা আসফাক জানিয়েছেন, ছাগলটি পাঞ্জাবের বিঠল প্রজাতির। নাম তৈমুর। বিঠল প্রজাতির বিশেষত্ব এদের উঁচু নাক হয় আর আকৃতিতে বিশাল। তৈমুর যেমন উচ্চতায় ৪৬ ইঞ্চি, ওজন ১৯২ কেজি। সাড়ে ১২ লাখ টাকায়।

সুরতের সাগরামপুরার বাসিন্দা আসফাক। তার ছাগলের ব্যবসা দীর্ঘ দিনের। তার কথায়, ‘কুরবানির জন্য প্রতি বছরই এই সময় চড়া দামে ছাগল বিক্রি হয়। এমনকি অনলাইনেও চলে কেনাকাটা।’ চড়া দামের কারণ অবশ্য একটাই। অসুস্থ বা আঘাত পাওয়া ছাগলকে কোরবানি দেয়া যায় না। স্বাভাবিকভাবেই ভালো ছাগল পেতে ভালো দামও দিতে হয় ক্রেতাকে।

আসফাকের কাছেও কাশ্মির, কাঠিয়াওয়াড়ি জেটা, কোটা, সিরোনসহ নানা প্রজাতির ছাগল ছিল এ বছর। সবই বিক্রি হয়েছে ভাল দামেই। তবে তাকে সবচেয়ে বেশি লাভের মুখ দেখিয়েছে পঞ্জাবের বিঠল প্রজাতির তৈমুর। নাকের অদ্ভুত আকৃতির জন্যই ক্রেতাদের কাছে এই প্রজাতির বেশি কদর, জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার ঈদের দিনই কোরবানি দেয়া হবে তৈমুরকে। আসফাক জানিয়েছেন, ১১ লক্ষ রুপিতে বিক্রি হওয়া ছাগলটিকে পুরদস্তুর সাজিয়ে গুছিয়েই ক্রেতার জিম্মায় পাঠিয়েছেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর