সীমান্তে মানুষ হত্যা শূন্যে আনার আশ্বাস বিএসএফ মহাপরিচালকের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত আলোচিত দহগ্রাম তিনবিঘা করিডোর ও চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত পরিদর্শন করলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা।

শনিবার (১০ জুলাই) ভারতের বাগডোগড়া বিমান বন্দর থেকে সড়ক পথে ২ টা ৫ মিনিটে তিনবিঘা করিডোরে আসলে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে বিএসএফের একটি দল। এরপর তিনি বাংলাদেশিদের চলাচলের রাস্তা তিনবিঘা করিডোর ও সেখানে দায়িত্বরত বিএসএফের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। তার সাথে ভারতের কোচবিহার জেলার বিএসএফের কলকাতা ইস্টার্ন কমান্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ সিং, মেখলিগঞ্জ থানার শশী ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক এবং উত্তরবঙ্গ সদর দপ্তরের বিএসএফ কর্মকর্তাগণসহ মহাপরিচালকের সহধর্মিণীও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএসএফের মহাপরিচালকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫১ ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার ইয়াছির জাহান ও অধিনায়ক লে. কর্নেল ইসহাক। সাক্ষাৎকালে বিজিবির পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। প্রায় ৪০ মিনিটব্যাপী সৌজন্য সভায় সীমান্তের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে। এরপর ২ টা ৫০ মিনিটে বিএসএফের মহাপরিচালক বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে বিএসএফের তিনবিঘা ও ভীম ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

বিএসএফের মহাপরিচালক (ডিজি) রাকেশ আস্থানার সাথে সৌজন্য বৈঠক মিলিত হওয়া প্রসঙ্গে বিজিবির রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইয়াছির জাহান বলেন, বিএসএফের মহাপরিচালক সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান উল্লেখ্য করে সৌজন্য বৈঠকে বিএসএফ মহাপরিচালক উভয় দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সীমান্তে চোরাচালান কমে যাওয়ায় বিজিবি-বিএসএফের যৌথ টহল অনেক বেশি কার্যকরী উল্লেখ্য করে তিনি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা পুনরায় চালুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।’

সৌজন্য বৈঠক শেষে বিএসএফের মহাপরিচালক ও মহাপরিচালক পত্নীসহ বিএসএফের কর্মকর্তাদের বিজিবির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। বিএসএফও বিজিবিকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর