বঙ্গমাতা দিবসে ২ হাজার করে টাকা পাবেন ২ হাজার নারী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী ৮ আগস্ট। দিনটি উপলক্ষে ‘বঙ্গমাতা’ জাতীয় দিবস উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বুধবার (৭ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে দুই হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা এবং চার হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সরকার ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদানের স্বীকৃতি দিতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক নারীদের জন্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- “বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী”।

এ দিবসে আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বোচ্চ পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক দেওয়া হবে। পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা এবং সম্মাননা পত্র দেওয়া হবে।

বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। গণভবন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্তে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মিশন ও দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ সজ্জিতকরণ, বিলবোর্ড স্থাপন, স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বাংলা ও ইংরেজিতে পোস্টার তৈরি ও বিতরণ, বঙ্গমাতার জীবন ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ডিজিটাল শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ এবং মোবাইল ফোনে এসএমএস দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংযুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিস, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা প্রধানরা এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর