লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বরযাত্রা!

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলছে বিয়ের অনুষ্ঠান। করতে হবে অংশগ্রহণ। কিন্তু চলমান কঠোর লকডাউনে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে যে করেই হোক পৌঁছাতে হবে বিয়ে বাড়ি। আর এ অবস্থায় লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বসেন একদল নারী-পুরুষ।

ভেবেছিলেন রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। কিন্তু এর আগেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো বেরসিক পুলিশ। থামানো হলো অ্যাম্বুলেন্সটি। দরজা খুলে একে একে নামানো হলো ১২ নারী-পুরুষকে। যদিও রাত হয়ে যাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে আইন ভঙ্গের দায়ে অ্যাম্বুলেন্স চালককে দেয়া হয় মামলা।

ঘটনাটি চট্টগ্রামের। বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ সাহেদ জানান, বহদ্দারহাট মোড়ে চেকপোস্টে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে থামানোর সংকেত দেয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খুলতেই দেখা যায় ভেতরে নারী-পুরুষে ভর্তি। ১২ জন নারী-পুরুষ চকবাজার মেডিকেল কলেজ স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রওনা হয়ে নতুন ব্রিজ যাচ্ছিলেন। তারা সবাই বিয়ের বরযাত্রী। ওই সময়ে কোনো ভ্রাম্যমাণ আদালত না থাকায় লকডাউনের আদেশ অমান্যের দায়ে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। তবে অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এর আগে, সকালে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় যাত্রী বহনের দায়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা।

এদিকে, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসা ও দোকানপাট খোলা রাখায় ৩৭ মামলায় ১৩ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়া দিনভর অভিযানে ৮৮টি মামলা ও ৫৪ টি গাড়ি আটক করে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ এবং থানা পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর