কোরবানির হাট মাতাবে ৪২ মণের ‘সুলতান’!

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নাম ‘সুলতান’। বিশাল ধড়; তার ওপর ওজন ৪২ মণ। হেলেদুলে হাঁটে বালুর আঙিনায়। সুলতান নামের মধ্যেই আছে রাজকীয় ভাব। নাম আর ওজনের সমন্বয়ে সুলতান হয়ে উঠেছে অন্যতম আকর্ষণ।

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পরম যত্নে সুলতানকে বড় করেছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রানীগাঁও এলাকার পল্লী চিকিৎসক ও খামারি রুহুল আমিন।

তিনি জানান, তিন বছর বয়সি ৪২ মণ (১৬৮০ কেজি) ওজনের এ  ষাঁড়ের চলাফেরা আর খাবারেও রয়েছে রাজকীয় ভাব। এখন পর্যন্ত শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ ওজনের ষাঁড় এটি। আসন্ন ঈদুল আজহার হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন তিনি। খবর বাসসের।

খড় ও ঘাস বাদেই তাকে খৈল ভুসি, ভাতের মাড়, খুদিসহ অন্তত ১০ কেজি খাবার দিতে হয় প্রতিদিন। গোসল দিতে হয় দিনে একাধিকবার। চলাফেরা করতে ছয়জনের সহযোগিতা লাগে সুলতানের। তার রাজকীয় ভাব দেখতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে উৎসুক মানুষের।

শেরপুর শহর থেকে সুলতানকে দেখতে আসেন মো. শাহেদ রবিন। তিনি বলেন, ‘কয়েকজনের কাছে এ সুলতানের নাম শুনে দেখতে এলাম। এত বড় ষাঁড় দেখে অবাক হয়েছি।’

এদিকে করোনার এ সময়ে হাটে সুলতানকে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সুলতানের পেছনে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। তার নিরাপত্তা দিতেও এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের মতো ছোট খামারির ঘরে এত বড় ষাঁড় রাখাও কঠিন। এ  ঈদে সুলতানকে বিক্রি করতে না পারলে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব।

তিনি আরও বলেন, এত বড় ষাঁড় ট্রাক বা কোনো যানবাহনে নেওয়াও কঠিন। করোনার কারণে হাটে তোলা না গেলে বেশ বিপদে পড়ে যাব। তাই স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা যদি অনলাইনে সুলতানকে বিক্রির বিষয়ে সহযোগিতা করতেন, আমি বেশ উপকৃত হতাম।

এদিকে জেলার খামিদের জন্য দ্রুত অনলাইনে গরু কেনাবেচার প্ল্যাটফরম শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই।

তিনি বলেন, গত বছরের মতো এবারও জেলাভিত্তিক অনলাইন কোরবানির হাট নামের একটি ফেসবুক পেজ আমরা প্রস্তুত করছি। এ পেজের মাধ্যমে খামারিরা তাদের প্রস্তুত করা পশু সহজেই বিক্রি করতে পারবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর